এবার আর জোড়া লক্ষ্মী নয়, ম্লান ইন্দ্রাণী-রাজনন্দিনীর বাড়ির পুজোয়
Rajnandini Paul: পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চান না ইন্দ্রাণী দত্ত, তবে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ইন্দ্রাণী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার কোনও বাড়তি আয়োজন নয়। উৎসব সেলিব্রেশন নয়। কেবল পুজোটাই হোক। TV9 বাংলাকে তেমনটাই জানালেন তাঁর মেয়ে রাজনন্দিনী পাল।
প্রতিবছর ঘটা করে লক্ষ্মী পুজো হয় অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী ইন্দ্রাণী দত্তর বাড়ি। রাজনন্দিনী পাল অর্থাৎ ইন্দ্রাণী দত্তর মেয়ে ছোট থেকেই পরিবারের এই একটি পুজোই বড় করে হতে দেখে এসেছেন। তবে এত বছর পর এবার পুজোয় ভাটা। নাহ, পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চান না ইন্দ্রাণী দত্ত, তবে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ইন্দ্রাণী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার কোনও বাড়তি আয়োজন নয়। উৎসব সেলিব্রেশন নয়। কেবল পুজোটাই হোক। TV9 বাংলাকে তেমনটাই জানালেন তাঁর মেয়ে রাজনন্দিনী পাল।
রাজনন্দিনী বর্তমানে অভিনয়ের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সদ্য ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর মহিষাসুরমর্দ্দিনী। যথেষ্ট প্রশংসাও পেয়েছেন এই কাজের জন্যে। এখন আগামী কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কথাবার্তা চলছে। আর সেই ব্যস্ততার মাঝেই হাজির বাড়ির লক্ষ্মী পুজো। মায়ের হাতে হাতে কি পুজোর আয়োজন করেন রাজনন্দিনী? হাসতে-হাসতে বললেন, ‘এতে মায়ের কাজ আরও বাড়বে। আমি খুব একটা পোক্ত নই পুজোর কাজে। মায়ের সঙ্গে সঙ্গে থাকি। আমায় যেটুকু বলা হয়, সেটুকুই করার চেষ্টা করি, তাতে মায়ের যা সাহায্য হয়, ওইটুকুই।’
এবার পুজোর আয়োজন কতদূর? রাজনন্দিনীর কথায়, ‘এবার আর বড় করে পুজোটা হচ্ছে না। আমাদের বাড়িতে জোড়া লক্ষ্মী পুজো হয়, এবার সেটাও হবে না। পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তবে ভোগ প্রসাদ বিতরণের যে আয়োজন থাকে প্রতি বছর, সেটা এবার থাকছে না। ঘরোয়াভাবে পুজোটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মা।’ এদিন আর কী কী করা হয়? ‘আমরা যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকি, সেখানে সকলের ঘরে গিয়ে গিয়ে প্রসাদ দিয়ে আসি। বাড়িতে অতিথিরা আসেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই সময় কেটে যায়। এর বাইরে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা থাকে না। কোনও নিমন্ত্রণও পেয়েছি বলে তো মনে পড়ে না। এদিনটা নিজেদের মতো করেই কাটাই। এবারও বাড়িতেই থাকব। এই সময়টা কাজ থাকে না, তাই বাড়িতেই থাকা হয়।’