দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির ছেলে তিনি। তাঁকে বাড়ির সকলে ‘রঞ্জু’ নামেই ডাকেন। বাংলার স্বর্ণ যুগে অভিনয়ে আসা তাঁর। ‘পদাতিক’ ছবির পরিচালক কিংবদন্তি মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভিউ’ ছবির হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রাখেন রঞ্জিত মল্লিক। মৃণালের ‘কলকাতা ৭১’-এও অভিনয় করেছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘শাখা প্রশাখা’-তেও ছিলেন রঞ্জিত। উত্তমকুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং মিঠু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘মৌচাক’-এর মতো হাস্যরসে ভরপুর রোম্যান্টিক ছবিতেও অভিনয় করেছেন মল্লিকবাড়ির রঞ্জু।
তারপর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়দের বড়দাদা হয়ে কাজ করেছেন একাধিক বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে। সেখানে সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায় রঞ্জিত শপাং-শপাং করে বেল্ট দিয়ে মেরেছেন দুষ্টু ভিলেনদের। চাবকে পিঠের ছাল তুলেছেন বাড়ির বেয়ারা ছেলের। ব্যক্তিজীবনে দীপা মল্লিককে বিয়ে করেন রঞ্জিত। মৌসুমী চট্টোপাধ্য়ায় থেকে শুরু করে মুনমুন সেন, সুন্দরী অভিনেত্রীদের প্রিয় নায়ক রঞ্জিত মল্লিকের কোনওদিনও কোনও গসিপ শোনা যায়নি। কোনওদিনও শোনা যায়নি তিনি কোনও নায়িকার প্রতি দুর্বল হয়েছেন। বিষয়টিকে মজার ছলে গ্রহণ করেছেন রঞ্জিত। এবং জানিয়েছেন সেই কারণও।
রঞ্জিত বলেছেন, “আমি চিরকালই মহিলাদের একটু অন্য চোখে দেখে এসেছি। তাঁদের আমি চিরকালই খুব শ্রদ্ধা করি। মাসিমা-জেঠিমাদের জীবন তো দেখেছি। সেই জন্যই হয়তো কোনও নায়িকার সঙ্গে পেশাদার সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে অন্য ধরনের মাখোমাখো সম্পর্ক তৈরি হয়নি।”