কলকাতায় নক্ষত্রপতন, নীরবে প্রস্থান দরাজ কণ্ঠের রশিদ খানের

Sneha Sengupta |

Jan 09, 2024 | 5:49 PM

Rashid Khan Passes Away: প্রয়াত উস্তাদ রাশিদ খান। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর জীবনপ্রদীপ। বেলা ৩টে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাশিদ। ২২ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে। ভেন্টিলেশনে ছিলেন মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই।

কলকাতায় নক্ষত্রপতন, নীরবে প্রস্থান দরাজ কণ্ঠের রশিদ খানের

Follow Us

প্রয়াত উস্তাদ রশিদ খান। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর জীবনপ্রদীপ। বিকেল ৩.৪৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রশিদ। দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে। ভেন্টিলেশনে ছিলেন মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই। চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও শেষ রক্ষা হল না। তিনি আর ফিরে এলেন না তাঁর চেনা সুরের দুনিয়ায়। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে নিভে গেল রশিদের জীবনের প্রদীপ।

আর গেয়ে উঠবে না সেই পরিচিত কণ্ঠ। ‘আয়ো গে জব তুম…’ বলে ডাকলেও আর চোখ তুলে তাকাবেন না রশিদ খান। আর ফিরে আসবেন না কলকাতার তাঁর নাকতলার বাড়িতে। চিরনিদ্রায় চলে গিয়েছেন শিল্পী। শেষ হয়েছে যুদ্ধ। পুরনো বছরের শেষে কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। স্ট্রোক হয়েছিল রশিদের। দীর্ঘদিন ভুগেছিলেন ক্যানসারেও। মাঝে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও, মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁর পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। অতি সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় গায়ককে। মঙ্গলবারই বিকেল ৩.৪৫ নাগাদ চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করেন। তারপর যা অপ্রত্যাশিত, তাই হল। চিরনিদ্রায় চলে গেলেন রশিদ।

রশিদের মৃত্যু সংসাদে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত জগৎ। মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে সরাসরি রশিদের নিথর দেহ পৌঁছে যাবে পিস হেভেনে। আগামীকাল, অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ৯.৩০টা নাগাদ রশিদের পার্থিব দেহ নিয়ে যাওয়া হবে প্রথমে রবীন্দ্রসদনে, তারপর তাঁর নাকতলার বাড়ি হয়ে টালিগঞ্জে কবর দেওয়া হবে। গান স্যালুট গেওয়া হবে শেষকৃত্যের আগে। মমতা বলেছেন, “কথাগুলো বলার সময় আমার গলা কাঁপছে। ভাবিনি কোনওদিনও রশিদের মৃত্যু সংবাদ এভাবে দেব। ওঁর কী বয়স।”

বিগত কয়েক দশক ধরে রশিদ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন তাঁর গানে। একবার পণ্ডিত ভীমসেন যোশী বলেছিলেন, “রশিদ খানের কণ্ঠ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ।” পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন রশিদ খান। ২০০৬ সালে তিনি পেয়েছিলেন সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড। ২০২২ সালে পেয়েছিলেন পদ্মভূষণ।

১৯৭৮ সালে, মাত্র ৮ বছর বয়সে দিল্লিতে প্রথম এক কনসার্টে গান গেয়েছিলেন রশিদ খান। তারপর থেকে সঙ্গীত চর্চায় দিনের ২৪ ঘণ্টাই অতিবাহিত করেছেন এই শিল্পী। সিনেমাতেও প্লেব্যাকে গান গেয়েছেন তিনি। করিনা কাপুর খান এবং শাহিদ কাপুরের ‘জব উই মেট’ ছবিতে ‘আয়ো গে জব তুম’ গানটি সবচেয়ে স্মরণীয়। উত্তরপ্রদেশে জন্ম হলেও কলকাতাকে ভালবেসে থেকে গেলেন সেই শহরেই। বিয়েও করেছেন এক বাঙালি মেয়েকে। রশিদে যে কলকাতার বড্ড আপন…

Next Article