Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ঋতুপর্ণর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বহু বছর কথা বন্ধ ছিল! কী প্রস্তাব, মুখ খুললেন রাতুল

রাতুল শঙ্করকে সকলেই চেনেন সুরকার ও বাদক হিসেবে। তবে বহুবছর আগে 'উৎসব' ছবিতে প্রথম তাঁকে অভিনেতা হিসেবে দর্শক পেয়েছিল। উৎসব ছবিতে রাতুল ও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের কেমিস্ট্রি দর্শকদের মনে ধরেছিল, অনেকেই আশা করেছিলেনএই জুটি আবার হয়তো আসবে।

ঋতুপর্ণর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বহু বছর কথা বন্ধ ছিল! কী প্রস্তাব, মুখ খুললেন রাতুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2025 | 8:20 PM

রাতুল শঙ্করকে সকলেই চেনেন সুরকার ও বাদক হিসেবে। তবে বহুবছর আগে ‘উৎসব’ ছবিতে প্রথম তাঁকে অভিনেতা হিসেবে দর্শক পেয়েছিল। উৎসব ছবিতে রাতুল ও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের কেমিস্ট্রি দর্শকদের মনে ধরেছিল, অনেকেই আশা করেছিলেনএই জুটি আবার হয়তো আসবে। এর পর অবশ্য গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় বহু ছবি করে প্রসিদ্ধ হয়েছেন, তবে রাতুল শঙ্কর অভিনয় থেকে দূরত্ব বজায় রেখে ছিলেন। অবশ্য বহুবছর পর আবার বড় পর্দায় অভিনেতা হিসেবে আসছেন রাতুল শঙ্কর। ছবির নাম ‘চেক ইন চেক আউট ‘। এই খবরতো সকলেই এখন প্রায় জেনে গেছে। তবে এতোদিন কেন রাতুল শঙ্কর কোনও ছবি করেননি? সেই প্রশ্নের ঝুলি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে জানা গেল এমন এক গল্প যা দর্শকদের কাছে একদম নতুন।

রাতুল শঙ্কর জানালেন, তিনি কোন কিছুই প্ল্যান করে করেন না। উৎসব ছবিতে ঐ চরিত্র করার জন্য পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁর মাকে বলেন, প্রথমে ইচ্ছে না থাকলেও হঠাৎই তিনি হ্যাঁ বলে দেন, এর পর তো সকলের জানা বিষয়। এই ছবির পর আবার একবার রাতুল শঙ্করের সঙ্গে একটি ছবি করতে চেয়েছিলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। তবে সেই ছবির গল্প শোনা মাত্র না বলে দিয়েছিলেন রাতুল। কী এমন ছবি করার কথা বলেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, যা শোনা মাত্র তরুণ রাতুল না বলে পালিয়ে গেছিলেন। এর পর অবশ্যই বহুদিন কথা ছিল না রাতুল আর ঋতুপর্ণ ঘোষের মধ্যে। সেই গল্প জানতে চাইলে, রাতুল টিভিনাইন বাংলাকে বলেন, ‘ উৎসব মুক্তির পর একদিন পরিচালক ঋতুদা ডেকে বললেন, আমাকে নিয়ে উনি একটি গল্প পরিকল্পনা করছেন, গল্পটা সেই সময়ের জন্য বেশ অন্যরকম,  একটি ছেলে সে নাচ করতে ভালোবাসে, তাঁর মাও নামকরা নৃত্যশিল্পী। তবে বাবা তাঁকে নাচ করলে খুব বকাঝকা করে, এতোদূর পর্যন্ত ঠিক ছিল আমি মন দিয়েই শুনছিলাম, এর পর একটি সিন বুঝিয়ে ছিলেন। ঋতুদা , যে বাথরুমে খালি গায়ে শাওয়ারে নিচে একটি নাচের দৃশ্য থাকবে, এই কথা শোনা মাত্র আমি একদম ঘাবড়ে যাই, সবে তখন আমার বয়স ১৯ কি ২০ হবে, কলেজে পা দিয়েছি। একদম মুখের উপর না বলে পালিয়ে এসেছিলাম। বহুদিন ঋতুদা আমার সঙ্গে কথা বলেননি। এরপর বহু বছর একটি ছবির সুর করার সময় আবার নিজেই কাছে টেনে কথা বলেন, সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। ” তিনি আরও জানান, তিনি অভিনয় নিয়ে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। সুরকার হিসেবেই পরিচিত হতে চেয়েছিলেন। বহু বছর পর বন্ধু সত্রাজিৎ অনুরোধ করায় আবার অভিনয় করলেন।