চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও সময়ে যা কিছু হতে পারে। একমনে প্রার্থনা করছিলেন অনুরাগীরা। হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন স্ত্রী লিজেল। অবশেষে খবর এল, ভাল আছেন তিনি। দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, অসুস্থ অবস্থাতেও তাঁর জীবনের প্রথম ভালবাসা ‘নাচ’ তাঁর সঙ্গ ছাড়েনি।
গত শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ডান্স কোরিওগ্রাফার রেমো ডি’সুজা। আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন বছর ৪৬-এর রেমোর হার্টে ব্লকেজ থাকার কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। করা হয়েছিল অ্যাঞ্জিওগ্রাফি। ওই দিনই রেমোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু কোরিওগ্রাফার আহমেদ খান জানিয়েছিলেন, “স্বাস্থ্য সচেতন একজন ব্যক্তির সম্পর্কে এমন একটা খবর যখন কানে আসে তখন হৃদয় ভেঙে যায়।”
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ রেমোর স্ত্রী ইনস্টাগ্রামে তাঁর একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন। তাতে রেমোর মুখ না দেখা গেলেও দেখা যাচ্ছে দুই পা। হাসপাতালের পোশাকে অসুস্থ অবস্থাতেই দুই পায়ে তাল দিচ্ছেন রেমো। পিছনে বাজছে ‘বিলিভার’ গানটি। লিজেল ক্যাপশনে লেখেন, “পা দিয়ে নাচা এক ব্যাপার আর মন থেকে নাচা আর এক জিনিস”। সবার আশীর্বাদের জন্য অনেক ধন্যবাদ।” অর্থাৎ, আগের থেকে ভাল আছেন রেমো। উঠে বসতে পেরেছেন। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন।
স্বভাবতই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন রেমো ভক্তরা। তাঁদের প্রিয় মানুষটি যাতে আবার মঞ্চে ফিরে আসেন খুব তাড়াতাড়ি, আপাতত সেই প্রার্থনাই করছেন তাঁরা। বলিউডে ‘স্ট্রিট ডান্সার- থ্রি ডি ’, ‘রেস-থ্রি’, ‘এ ফ্লাইয়িং জাট’, ‘এ বি সিডি -২’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। ‘কিক’, ‘জিরো’, ‘বজরঙ্গী ভাইজান’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-র মতো ছবিতে ডান্সকোরিওগ্রাফি করেছেন তিনি। বেস্ট কোরিওগ্রাফি বিভাগে ‘বাজিরাও মস্তানি’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান রেমো ডি’ সুজা।