পোস্ট অফিসে রূপঙ্করের গালি, চৈতালী বললেন, ‘অত পুরুষ মিলে স্ত্রীকে…

Sucharita De | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Mar 11, 2024 | 5:13 PM

Rupankar Bagchi: বেলগাছিয়া পোস্ট অফিসে তাঁর স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ি গিয়েছিলেন আধার কার্ডের কিছু পরিবর্তন করতে। পোস্ট অফিসের কর্মীদের অভিযোগ, দেরি হওয়ায় নিজের স্বামীর সেলেব তকমাকে কাজে লাগিয়ে চৈতালী বলেন, 'মুড়ি-মিছরি এক করে দিলেন হবে না"।

পোস্ট অফিসে রূপঙ্করের গালি, চৈতালী বললেন, অত পুরুষ মিলে স্ত্রীকে...
মুখ খুললেন চৈতালী

Follow Us

গায়ক রূপঙ্কর বাগচি আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। ভাইরাল হয়েছে এক ভিডিয়ো। আর যে ভিডিয়ো দেখেই খোদ ভক্তরা রূপঙ্করের উপর রেগে গিয়ে বলছেন ‘এ তুমি কেমন তুমি’। বেলগাছিয়া পোস্ট অফিসে তাঁর স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ি গিয়েছিলেন আধার কার্ডের কিছু পরিবর্তন করতে। পোস্ট অফিসের কর্মীদের অভিযোগ, দেরি হওয়ায় নিজের স্বামীর সেলেব তকমাকে কাজে লাগিয়ে চৈতালী বলেন, ‘মুড়ি-মিছরি এক করে দিলেন হবে না”। এখানেই শেষ নয়, তাঁদের আরও দাবি, রূপঙ্কর অফিসে ঢুকে ‘ফা* ইউ’ বলেও গালিগালাজ করেন কর্মীদের। এ নিয়েও যখন হচ্ছে জোর আলোচনা তখন রূপঙ্করের বয়ান জানতে ফোন করেছিলেন টিভিনাইন বাংলা। ফোন ধরেন তাঁর স্ত্রী চৈতালী। তিনি যা বললেন, তা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।

কী ঘটেছিল পোস্টঅফিসের ভিতর?

আমার আধার কার্ডের ঠিকানায় একটা সমস্যা ছিল। আমি আগের বার সেই কারণে ভোট দিতে পারিনি। সেই কারণে ওই দিন সকালে আমি পোস্টঅফিসে গিয়েছিলাম। আমার তিনটে থেকে অ্যাকাদেমিতে নাটকের শো দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। রূপঙ্করও ছিল আমার সঙ্গে। ও গাড়িতে বসে ছিল। আমি ভেবেছিলাম পোস্টঅফিসের কাজটা করে বেরিয়ে যাব। কিন্তু ওখানকার কর্মচারীরা আমায় এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখে। আর কী মারাত্মক অপমান। আমি বেরিয়ে আসছি না দেখে, রূপঙ্কর ঢোকে। ঢুকে রূপঙ্কর দেখে আমার সঙ্গে ওরকম হচ্ছে। আমি ওদেরকে বারবার করে বলতে থাকি, করতে গেলে তো দু’মিনিট লাগবে। ওরা বলছে, ‘না হবে না করব না’। তখন লাঞ্চটাইমও ছিল না। ওরা জাস্ট করছিল না। এমন না যে ওখানে তখন ভিড় ছিল। আমি দেখছিলাম, দালালদের দিয়ে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, ‘কখন আসবে তোমাদের লোক’? এমন সময় রূপঙ্কর ঢোকে। সবটা দেখে ও খুব রেগে যায়।

সেলিব্রিটি হওয়ার সুবিধে চেয়েছেন?

আমি ওদেরকে এটাই বলেছি আধার কার্ডের পরিবর্তন করানো আমার অধিকার। অনেকেই হয়তো জানেন না। তাই মুড়ি-মিছরি এক করে দেখলে তো হবে না। আপনি আমার অধিকার তো বন্ধ করে দিতে পার না। এবার তো বোরখা পরতে হবে। ঘোমটা দিতে পরে। একজন মেয়ে হয়ে এত প্রশ্ন করছে সেটাই ওদের পছন্দ হয়নি।

কেন গালাগালি দিলেন রূপঙ্কর?
রূপঙ্কর কি পাগল হয়ে গিয়েছে যে গালাগালি দেবে! সে দেখছে একটা মহিলাকে চারটে পাঁচটা লোক মিলে ঘিরে ধরে অপমান করছে, সেই মহিলা তাঁর স্ত্রী, সে কি চুপ করে থাকবে? রূপঙ্কর ঢুকে ওরকম দেখে সাধারণভাবেই ওর মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়, ‘হোয়াট দ্য ফা*’! ওঁরা চেয়েছিলেন রূপঙ্করের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে নাম কিনতে। সেই কারণে ওভাবে ভিডিয়ো করেছেন।

 

চৈতালীর এ কথা বললেও চিঁড়ে ভেজেনি। অতীতে ট্রোল্ড হয়েছেন রূপঙ্কর। তাঁর ‘হু ইজ কেকে’– নিয়ে আজও চলে আলোচনা। ফের একবার একই পরিস্থিতির মুখোমুখি গায়ক।

 

Next Article