বুধবার মধ্যরাতে সইফ আলি খানকে ছুরি মেরে পালায় চোর। খবর ছড়়িয়ে পড়তেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। রাত তিনটের সময় সইফ করিনার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পৌঁছে যায় মুম্বই পুলিশের একটি দল। পাশাপাশি ফরেন্সিক টিমও পাঠানো হয় ঘটনা স্থলে। সেখানে থেকে নমূনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানে উপস্থিত অনেকের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝায় চেষ্টা করছিল পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছিল সিসিটিভি ফুটেজ। আর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই লিক হল সম্ভাব্য দুষ্কৃতীর ছবি। মধ্যরাতে সিঁড়ি দিয়ে পালাতে দেখা যায় এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে। ঘড়ির কাঁটা বলছে ঠিক তার আগের মুহূর্তেই সইফকে আঘাত করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল সেই ছবি।যদিও সেই চোর এখন অধরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্যরাতে ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। মুহূর্তে তদন্তে নামে স্থানীয় পুলিশ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে করিনা-সইফের বাড়িতে পৌঁছায় ফরেন্সিকের একটি টিমও। মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সাইফের বাড়িতে ঢুকে পরিচারিকার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। সইফের কানে আওয়াজ যেতেই তিনি তৎপর হয়ে ওঠেন। বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এই ঘটনায় সইফ আলি খান গুরুতর আহত হন।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে, হামলার সময় সাইফ তাঁর স্ত্রী কারিনা কাপুর এবং সন্তানদের সঙ্গে বাড়িতে ছিলেন। সাইফ তাঁদের রক্ষা করতে গিয়েই নাকি ছুরির আঘাতে আহত হন। তাঁকে দ্রুত বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বর্তমানে সইফ বিপদমুক্ত।