AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সাইয়ারা’ দেখে চিল চিৎকার, সিনেমা হলে অজ্ঞান দর্শক! সত্যি নাকি সাজানো ঘটনা?

ছবি রিলিজের ১০ দিনের মধ্যেই ২৭০ কোটি টাকা আয় করে মোহিতের এই ছবি। তবে শুধুই কি বক্স অফিসের অঙ্ক, সোশাল মিডিয়ায় যেভাবে এই ছবি ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা, তা দেখে রীতিমতো হতবাক সিনেপ্রেমী মানুষ।

'সাইয়ারা' দেখে চিল চিৎকার, সিনেমা হলে অজ্ঞান দর্শক! সত্যি নাকি সাজানো ঘটনা?
| Updated on: Jul 31, 2025 | 8:42 PM
Share

১৮ জুলাই মুক্তি পায় আহান পাণ্ডে ও অনিত পাড্ডার ছবি সাইয়ারা। বহুদিন পর মোহিত সুরি ফের একটি নতুন জুটিকে নিয়ে সিনেপর্দায় প্রেমের গল্প বলেন। আৎ মুক্তির একসপ্তাহের মধ্যেই সাইয়ারা বুঝিয়ে দেয়, এই ছবি বলিউডের বক্স অফিসে ঝড় তুলতে এসেছে। হ্য়াঁ, ছবি রিলিজের ১০ দিনের মধ্যেই ৪৭০ কোটি টাকা আয় করে মোহিতের এই ছবি। তবে শুধুই কি বক্স অফিসের অঙ্ক, সোশাল মিডিয়ায় যেভাবে এই ছবি ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা, তা দেখে রীতিমতো হতবাক সিনেপ্রেমী মানুষ। ছবি মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে দর্শকদের উন্মাদনার নানান ভিডিয়ো। কন্য়াকুমারী থেকে কলকাতা, মুম্বই থেকে ম্যাঙ্গালোর। গোটা দেশ জুড়েই সাইয়ারা জ্বরে আক্রান্ত ইয়ংজেন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ছবি দেখে সিনেমা হলে কান্নায় ভেঙে পড়ছে দর্শক, কেউ কেউ সিনেমা হলের সিটে বসেই অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন যুবক তো খালি গায়ে চিৎকার করতে শুরু করে নিজেদের প্রাক্তনের নাম, সেই ভিডিও ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ে।

ফিল্ম সমীক্ষকরা বলছেন, এইসব উন্মাদনার ভিডিয়ো ড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সাইয়ারার ব্যবসায় আরও গতি আসে। আর সেই ভিডিয়োকে সিঁড়ি বানিয়েই দ্রুত দারুণ ব্যবসা করে ফেলেছে, ৩৫ থেকে ৪৫ কোটি খরচ করে তৈরি মোহিত সুরির এই ছবি। অনেকে তো মনে করছেন, এই ভিডিয়োগুলো একেবারেই প্রচারের অঙ্গ। একেবারেই সাজানো ঘটনা! যশরাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় উইহানি। তাঁর কথায়,

সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুললেন, আমাদের নজরেও এসেছে ভক্তদের উন্মাদনার ভিডিয়ো। কেউ অজ্ঞান হচ্ছেন, কেউ জামা খুলে চিৎকার করছেন। কিন্তু এসব একেবারেই আমাদের প্রচারের অংশ নয়। আমাদের তরফ থেকে কোনও সাজানো ঘটনাও নয়। একেবারেই ফ্য়ানদের নিজস্ব অভিব্যক্তি। আসলে সাইয়ারা একেবারে আবেগে পরিপূর্ণ একটি ছবি। যা মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। পরিচালক মোহিত এটাই চেয়েছিল। এই উন্মাদনা একেবারেই ফ্য়ানদের নিজস্ব। আর সত্য়ি কথা বলতে, বহুদিন পরে কোনও সিনেমা নিয়ে এমন উন্মাদনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তাও আবার একেবারেই নতুন অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে। এটাই তো বলিউডের আসল সংস্কৃতি।