যে কোনও সময় ঘটতে পারে যা কিছু! আজ বাবা সিদ্দিকী, কাল যে তিনি নন, সেই ভরসাও বা দেওয়া যাচ্ছে কেউ। চিন্তায় নাকি ঘুম উড়েছে সলমন খানের। ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, এতটা ভয় আগে পাননি ভাইজান।ইন্ডিয়া টুডের এক রিপোর্ট জানাচ্ছে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত সলমন খান। রাতে ঘুম হচ্ছে না। সমানে বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিসানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। শুধু তাই নয়, বাতিল করছেন যাবতীয় মিটিং। এমনকি বাড়ানো হয়েছে তাঁর নিরাপত্তাও।
রবিবারই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল যে বাবা সিদ্দিকির খুনের পিছনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের হাত রয়েছে। এরপর শুবু লঙ্কার নামক একজন ফেসবুক পোস্টে বাবা সিদ্দিকির হত্যার দায় স্বীকার করে। শুবু বা শুভম রামেশ্বর লঙ্কার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। শুবু বর্তমানে জেলে। রবিবারই তাঁর ভাই প্রবীণ লঙ্কারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষ্ণোইদের তরফে এও বলা হয় যে বা যারা সলমন খানের পাশে থাকবেন, তাঁরই অবস্থা সিদ্দিকীর মতোই হবে। আর এই কারণেই নাকি আরও চিন্তিত হয়ে পড়ছেন সলমন।
বাবার সিদ্দিকীর শেষ কাজেও হাজির ছিলেন তিনি। মুখ ছিল থমথমে। তাঁকে পরিবেষ্টিত করে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। বাবার মৃতদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় জিসানকে। চোখের কোণে জল চিকচিক করে ওঠে সলমনেরও। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় চিঙ্কারা ও কৃষ্ণসার মৃগ হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। তাঁকে জেলেও যেতে হয়। কৃষ্ণসার মৃগ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের পুজিত। এরপর থেকেই সলমনকে বারেবারে খুনের হুমকি দিচ্ছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।