একটানা পনেরো দিন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে গ্রেফতার হলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার সিবিআই সন্দীপকে নিয়ে সিজিও থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছিল আজ কি বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? এরপরই সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার হাতে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেন সন্দীপ ঘোষ। শহর জুড়ে যেন আগামী দীপাবলি। সামাজিক মাধ্যম জুড়ে উচ্ছ্বাস। তবে এই গ্রেফতারি সাময়িক স্বস্তি প্রদান করলেও তা যে পাকাপাকি সমাধান নয় তা স্পষ্ট করেই টিভিনাইন বাংলাকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন তাঁর প্রতিক্রিয়া।
গোড়া থেকেই আন্দোলনে সামিল ছিলেন তিনি। পরিচালকের কথায়, “ভদ্রলোক অ্যারেস্ট হয়েছে। যদিও ওঁকে ভদ্রলোক বলতেও কেমন একটা লাগছে। গ্রেফতার হয়েছেন একটা মাত্র ধারাতে। এরকম একটা মানুষকে দশ বার গ্রেফতার করা যায়। এতদিন ধরে এই যে একটা চক্র চালাচ্ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে কেউ জানতে পারলেন না সেটা তো আশ্চর্য লাগে। ওই যে বলে না কান টানলে মাথা আসে। সবে কানটা টানা হয়েছে। এটা নিতে এত বিহ্বল হওয়ার কিছু নেই। একটা বাচ্চাও জানত তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত সিন্ডিকেট তারা শাস্তি পাক। সবকিছু সামনে বেরিয়ে আসুক, এটাই চাইব।”
উল্লেখ্য, গত ১৫ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সন্দীপকে। রোজ নিয়ম করে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন সন্দীপ। সোমবারও গিয়েছিলেন। এর আগে তাঁর সন্দীপের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল। পরবর্তীতে আরজি কর থেকেও বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। এর পাশাপাশি তাঁর আরজি করের কক্ষ থেকেও বেশ কিছু হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত হয়। সেখান থেকেই কি কোনও ক্লু পেয়েছিলেন আধিকারিকরা? উঠছে প্রশ্ন।