সঞ্জয় দত্ত, বরাবরই তিনি বেশ জনপ্রিয়। সিনেমার পর্দায় যতটা, ঠিক ততটাই রঙিন তিনি বাস্তবেও। হাজার হাজার মহিলা মন দিয়েছিলেন তাঁকে। তবে জানেন কি, সেই তালিকায় ছিলেন মাধুরী দীক্ষিতও। বিয়েও ছিল স্থির। কিন্তু সবটাই পাল্টে গিয়েছিল TADA CASE (Terrorist and Disruptive Activities) -এর জন্য। ভেঙে গিয়েছিল মাধুরী দীক্ষিত ও সঞ্জয় দত্তের সম্পর্ক। রাতারাতি বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাধুরীকে। যদিও সঞ্জয় দত্তের রোম্যান্স কিন্তু সেখানেই থেকে থাকেনি। বলিউডের অন্যতম ক্যাসানোভার জীবনে ছিল না নারীর অভাব।
বহু সম্পর্ক এসেছে গিয়েছে। কিছু ছিল সম্পর্ক, কিছুক্ষেত্রে সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগেই সম্পর্ক এগিয়ে গিয়েছিল বহুদূর। সঞ্জয়ের তালিকায় এমন নারীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। সঞ্জু ছবি-তে অর্থাৎ সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক থেকেও সঞ্জয় দত্তের এই সিক্রেট বাদ যায়নি। ছবির পরিচালক রাজকুমার হিরানি জানিয়েছিলেন কীভাবে সঞ্জয় দত্ত বিভিন্ন মেয়েদের নানা কৌশলে বাড়িতে আনতেন।
সঞ্জয় দত্ত নিজেও কোনওদিন এই সত্যি অস্বীকার করেননি। একবার এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি সত্যিই এমনটাই করেছিলেন। সঞ্জয় দত্ত নিজেই একটা সময় বলেছিলেন, তিনি নিজেকে সামলাতে পারতেন না। একটা সময় এটা তাঁর অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তিনি নানা অছিলায় মহিলাদের ঘনিষ্ঠ হতেন। রাজকুমার হিরানি জানিয়েছিলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাকি মহিলাদের সহানুভূতি কুড়িয়ে তাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে যেতেন সঞ্জু। তারপরের ছবিটা ৩০৮ মেয়ের ক্ষেত্রেই প্রায় এক।