কী যে হচ্ছে বরাহনগরে! ভোট গণনা শেষ হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। বিকেল চারটে নাগাদও এগিয়ে ছিলেন বিজেপির সজল ঘোষ। কিন্তু পাঁচটার ঘড়ি ছোঁয়ার আগেই ফের বদল। আবারও এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ব্যবধান এতই কম যে শেষ মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে যা কিছু। নির্বাচন কমিশন জানাছে, এখনও পর্যন্ত সজল পেয়েছে ২৪ হাজার ৭০২টি ভোট। অন্যদিকে সায়ন্তিকা পেয়েছেন ২৭ জাজার ৩০২টি ভোট। এখনও পর্যন্ত দু’জনের ব্যবধান প্রায় ২৮০০টি ভোটের।
সকাল থেকে এগিয়ে ছিলেন সজল ঘোষ। সে সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, “প্রথম থেকে পিছিয়ে থাকা ভাল। সবাই নয়তো হতাশ হয়ে যাবে। প্রথমে একটু সবাই আনন্দ পাক, শেষে আমরা সব নিয়ে চলে যাব”। কথায় বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। আর অপেক্ষা মাত্র কিছুক্ষণ। শেষ হাসি কে হাসেন এখন সেটাই দেখার।
এ বছর নির্বাচনে চর্চিত প্রার্থী সায়ন্তিকা। এই বছর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাননি সায়ন্তিকা। তা নিয়ে দলের উপর একগুচ্ছ অভিমান প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর পরেই তৃণমূলের তরফে তাঁকে বিধানসভার প্রার্থী হওয়ার টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে। অভিমান ভুলে বরাহনগরেই গত দুই মাস যাবৎ বাড়ি ভাড়া নিয়ে জোরকদমে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। আপাতত জগন্নাথে ভরসা তাঁর। কী হয়, উত্তেজনায় গোটা এলাকা।