গাড়িতে তাপস আর রঞ্জিতদার সঙ্গে ফলতা শ্যুটে যাওয়ার সময় … কী হয়েছিল জানালেন শতাব্দী রায়
অনেক বছর পর টলিপাড়ায় আবার শ্যুট করেছেন শতাব্দী রায়। তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক কিছুর বদল হয়েছে এখন। তাঁদের সময় আলাদা করে কোন গাড়ি থাকতনা নায়ক নায়িকাদের জন্য । এসি গাড়িতো অনেক দূরের কথা।

অভিনেত্রী শতাব্দী রায় চতুর্থ বারের সাংসদ। বহু বছর পর আবার বড় পর্দায় আসছেন । পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ‘বাৎসরিক ‘ ছবির মাধ্যমে অভিনেত্রী তাঁর দ্বিতীয় ইনিংশ শুরু করলেন বলাই যায়। বহু বছর পর রাজনীতির কচকচানির বাইরে মন খুলে সিনেমা, অভিনয় আর পরিচালনা নিয়ে আড্ডা দিলেন TV9 বাংলার সঙ্গে। অনেক বছর পর টলিপাড়ায় শ্যুট করে তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক কিছুর বদল হয়েছে এখন। তিনি বললেন, ” আগে অনেকদিন ধরে সময় নিয়ে শ্যুট হত। চল্লিশ দিন, ষাট দিন। তবে এখনতো খুব কম সময়ে কাজ হয়। সময় কম ঠিক আছে, তবে এতে কাজে কম্প্রমাইজ করতে হয় বলে আমার মনে হয়। ক্যামেরা ম্যান থেকে শুরু করে পরিচালক, টেকনিশিয়ান সবাই তাড়াহুড়ো করছে, আমার মনে হয় এতে সিনেমার সৃজনশীলতায় প্রভাব পড়ে। এখনতো একটা করে ছবি করেন সবাই, তখন এক দিনে তিনটে শিফট কাজ করেছি। সকাল, বিকেল রাত। মানে যে যত বেশি শিফটে কাজ করবে সে তত বড় তারকা বে মনে করা হত।”
অভিনেত্রী শতাব্দী রায় আরও বলেন, ” সেই সময় কোন এসি গাড়ি , ভ্যানিটি ভ্যান তো দুরের কথা আলাদা গাড়ির ছিলনা। আমার মনে আছে ‘গুরুদক্ষিণা ‘ ছবির শ্যুট ছিল। একটা অ্যামবাসাডারে করে আমি তাপস আর রঞ্জিত দা ফলতা গিয়েছিলাম গানের শ্যুট করতে। সেই গাড়ির,স্পিড ২০। কিছুতে স্পিড বাড়ত না। সে নতুন গাড়ি হোক বা পুরোনো। একদিন আমি ড্রাইভারের বললাম নতুন গাড়ির স্পিড বাড়ছেনা কেন? উত্তরে ড্রাইভার বললেন নতুন বলে এখন বাড়বেনা। শুনে আমি তাপস ,রঞ্জিত দা হেসে গড়াগড়ি খেয়েছি। তবে দারুণ মজা করেছি। হইহই করে সিনেমার শ্যুট করেছি। ছবির হিরো হিরোইনের কোন আলাদা গাড়িতো দুরের কথা, ঐ সাদা অ্যামবাসাডার ঢকঢক করে ফলতা গিয়ে শ্যুট করে রাতে ফেরা।” গুরুদক্ষিণা ছবির সেই গান আজও হিট ‘ফুল কেন লাল হয়,…’।
