মায়েদের মন ভীষণ নরম। সন্তানদের জীবনে ঘাত-প্রতিঘাত, সুখ- দুঃখ কিংবা ব্যথা বেদনায় বারবার ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ঠিক যেমন হয়েছে ঋতাভরী চক্রবর্তীর মা, শতরূপা সান্যালের। গত অগাস্ট মাসে ‘পিরিয়েনাল অ্যাবসেস’ ধরা পড়ে মেয়ের। সার্জারিও হয়। তখনকার মতো রিলিফ পেলেও, ডাক্তার বলেন এটা পরে ফিশচুলার দিকে টার্ন নিতে পারে।
এবং পরবর্তীতে তাই হয়। সমস্যা বাড়ছিল। তবে গতকাল, ফিশচুলা অপারেশন হয় ঋতাভরীর। হাসপাতালে রয়েছেন ঋতাভরী। আজ বিকেলে বাড়ি ফিরবেন। তবে মায়ের মন এখনও আনচান। ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, “ও একজন ফাইটার। ব্যথা-বেদনা সয়ে নিতে পারে। কিন্তু মায়ের মন তো, বুঝতেই পারছেন, রাস্তাঘাটে কুকুর-বেড়ালেক কষ্ট সহ্য করতে পারি না। ঋতাভরী তো আমার সন্তান।”
ঋতাভরীর শারীরিক যন্ত্রণা রয়েছে। তবে আস্তে আস্তে তা কমে আসবে, জানালেন শতরূপা। গতকাল রাতে এক আবেগঘন পোস্ট করেন শতরূপা। মেয়েকে নিয়ে কবিতা। সেই কবিতায় উপচে পড়ে শুভাকাঙ্ক্ষীদের কমেন্ট। ঋতাভরীর অপারেশনের পর তোলা ছবিও পোস্ট করেন শতরূপা, পরে তা বদলে অন্য এক ছবি পোস্ট করেন। কারণে শতরূপা বলেন, “ছবিটাতে মেয়ের মুখ কষ্ট-কষ্ট ছিল, তা-ই সবাই বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেন, তাই একটা হাসিখুশি ঋতাভরীর ছবি দিয়েছি।”
শতরূপা পোস্টে লেখেন,
ব্যথাগুলো ঝরে যাক হেমন্তের কাশের মতন
স্মৃতি হয়ে যাক এই যন্ত্রণার কথোপকথন।
ভোরের নরম রোদে কিশলয় মেলুক দুচোখ
তোর নিরাময় সুখে জননীরও নবজন্ম হোক!
সন্তানের কষ্টগুলো সব
নিতাম নিজের দেহে, হত যদি কখনও সম্ভব।
তোকে দিয়ে যেতে চাই আমার স্বপ্নের গুঞ্জরণ
সসাগরা ধরিত্রীর সৃষ্টিময় আনন্দ ভূবন।
তোকে দিয়ে যাব ভালোবাসা মাখা সুন্দর জীবন।। —শতরূপা সান্যাল (১০.৩.২০২১)
ঋতাভরীর আজ একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে । গত আগস্ট মাস থেকে ও খুব কষ্ট পাচ্ছিল এক ধরনের অর্শ্বতে। ছবিটা ওর অপারেশনের পর যখন পুরোপুরি জ্ঞান এলো , তখন নিয়েছিলাম। ও ভালো আছে। তোমাদের ভালোবাসায় শুভেচ্ছায় ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে, আমি জানি।.. আমি লেখাটায় সব কথাই বলতে চেয়েছি। কিন্তু তোমাদের সবার উদ্বেগ ও চিন্তা হচ্ছে দেখে ছবিটা তুলে নিলাম। সবাই ভালো থেকো।!!