‘এখনও সারেঙ্গিটা বাজছে…’, — এখনও তিনি গান গেয়েই চলেছেন। ১৯৭২ সালে যে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল এত বছর পার হলেও আজও তিনি থেমে নেই। তিনি অর্থাৎ হৈমন্তী শুক্লা। শুধু বাংলাতেই নয়, গোটা দেশেই যিনি সমান জনপ্রিয়। হৈমন্তী মানেই কপালে বড় লাল টিপ, একগাল হাসি আর শাড়ি। একই সঙ্গে তিনি যেন এক বটগাছ, অনেকের বড় আশ্রয়। যার মধ্যে মাতৃত্বভাব এত প্রবল, সেই মানুষটি কোনওদিন সংসারী হলেন না। কিন্তু কেন?
এক রিয়ালিটি শোর মঞ্চে দাঁড়িয়ে হৈমন্তীর অকপট স্বীকারোক্তি, “গান ছাড়া আমার কিছুই ভাল লাগে না। গানটার সঙ্গেই গভীর প্রেম, আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে।” তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “কখনও মনে হয়নি সংসার করলাম না?” উত্তরে হৈমন্তী বলেন, “না, কখনও না, কেন আমার বর হল না, ছেলেপুলে হল না, এ সব মনে হয়নি। আসলে আমার এত ছেলেপুলে যে লোককে আমাকে মা বলে ডাকে।” জন্ম দিলেই যে শুধু মা হওয়া যায় এই ভাবনায় বিশ্বাসী নন হৈমন্তী নিজেও। তাঁর ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি মায়ের মতোই স্নেহময়ী। কিছু দিন আগে এক রিয়ালিটি শো’র মঞ্চে এসেছিলেন তিনি। সেখানেও সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তকে ছেলে বলে জড়িয়ে ধরেন হৈমন্তী।
এ তো গেল বিয়ে-সন্তানের কথা। আর প্রেম? তাও কি কোনওদিন আসেনি তাঁর জীবনে? রাখঢাক না করেই তাঁর উত্তর, “কেউ হয়তো ভালবেসেছে। আমি বুঝতে পারিনি। অনেকেই আমায় জিজ্ঞাসা করেন, তুমি এত ভালবাসার গানগুলো কাকে ভেবে গাও? আমি তখন উত্তর দিই ওই মাইক্রোফোনটাই আমার প্রেমিক হয়ে যায় তখন।” মানুষটা যে এমনই। সহজ সরল সাদামাঠা।