সরকারকে চাকরি নিয়ে পরামর্শ রূপঙ্করের, চাঁচাছোলা ভাষায় আবার বিস্ফোরক গায়ক?

Rupankar Bagchi: প্রয়াত গায়ক কেকে-কে নিয়ে একসময় মন্তব্য করে বিরাট বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিলেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। সরল মনে বেফাঁস বলেছিলেন, "কেকে কে? হু ইজ় কে ম্যান?" যে সন্ধ্যায় ভিডিয়ো আপলোড করেন, সেই সন্ধ্যাতেই কলকাতার নজরুল মঞ্চে লাইভ পারফর্ম করতে-করতে অসুস্থ হয়ে মারা যান কেকে। কেকের মৃত্যু এবং রূপঙ্করের মন্তব্যকে ঘিরে বিরাট ট্রোলিং হয়েছিল। সেই থেকে মুখের ভাষা নিয়ে সচেতন রূপঙ্কর। কিন্তু সরকারকে চাকরি নিয়ে এটা কী বললেন গায়ক?

সরকারকে চাকরি নিয়ে পরামর্শ রূপঙ্করের, চাঁচাছোলা ভাষায় আবার বিস্ফোরক গায়ক?
রূপঙ্কর বাগচী।
Follow Us:
| Updated on: Apr 23, 2024 | 10:19 AM

গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইসহ উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলা এবং সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট পর্ব মিটেও গিয়েছে। গ্রীষ্মের দাবদহে ভারতবাসী তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে পিছু হটছেন না। আর এই ভোটের সময় নামজাদাদের নিয়ে বেশ তামছাম হয়। যেমন ধরুন, কোন বিখ্যাত ব্যক্তি ভোট দিতে এসেছেন, তাঁকে দেখার জন্য ভিড় জমে যায় ভোট-কেন্দ্রে। এদিকে ভোট দিতে যাওয়ার আগে অনেককিছুই মনে হয় তাঁদের। সেই মনে হওয়াগুলো শুনে নিল TV9 বাংলা। যোগাযোগ করা হয়েছিল গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর সঙ্গে। ভোট দিতে যাওয়ার সময় তাঁর মাথায় কী চলে, জানিয়েছেন গায়ক।

কিছুদিন পরই ভোট দিতে যাবেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে ভোট দিতে যাবেন তিনি। তবে এখন থেকেই কপালে ভাঁজ পড়ে গিয়েছে গায়কের। ভোট দিতে যাওয়ার আগে তাঁর মাথায় চলছে নানা কিছু। TV9 বাংলাকে রূপঙ্কর বলেছেন, “আমার মাথায় একটা প্রশ্নই চলতে থাকে–ভোটটা কেন গরমকালে হয়? শীতকালে তো দিব্যি হতে পারে। কিন্তু হয় না। ৪০ ড্রিগ্রি সেলসিয়াসে সূর্যের প্রচুর তাপ মাথায় নিয়ে একজন ভোটার ভোট দিতে যান। আমার খালি একটাই চিন্তা হচ্ছে এখন থেকে–ভোটের লাইনটা বড় হবে না তো। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না তো।”

দীপঙ্করের কন্যার ১৯ বছর বয়স। দ্বিতীয়বারের জন্য ভোট দিতে চলেছেন তিনি। ভোট দিতে যাওয়ার আগে কন্যাকে কি পরামর্শ দেন রূপঙ্কর? গায়ক বলেছেন, “আমার মেয়েকে এখন আর কোনও পরামর্শ দিতে হয় না। ও খুবই ম্যাচিউর। বরং আমি ইম্ম্যাচিউর। আমাকে উল্টে আমার মেয়েই অনেক পরামর্শ দেয়।” দীপঙ্করকে কী পরামর্শ দেন তাঁর কন্যা? গায়ক জানিয়েছেন, মেয়ে আমাকে বারবার বলে, কম কথা বলতে। ওর পরামর্শ মতোই চলছে সবকিছু।

এই খবরটিও পড়ুন

৪ জুনের পর জানা যাবে কোন রাজনৈতিক দলের কাছে গোটা দেশের দায়িত্ব আসছে। নতুন সরকারের থেকে ঠিক কী প্রত্যাশা রাখেন রূপঙ্কর? নায়ক বলেছেন, “প্রত্যাশা তো আছেই। একটা কথা বলতে চাই। খেলোয়াড়রা যেমন বিনোদন প্রদান করে, গায়করা তো তাই-ই করেন। তাঁরাও মানুষের মনোরঞ্জ করেন। খেলোয়াড়দের জন্য স্পোর্টস কোটা আছে। সবাই তো সচিন-সৌরভ হন না। অনেক খেলোয়াড়েরই কিন্তু সেই স্পোর্টস কোটা ব্যবহার করে চাকরি হয়। আমার একটাই আর্জি থাকবে নতুন সরকারের কাছে–গায়কদেরও যদি সেরকম একটা সিংগার্স কোটা থাকে। তা হলে তাঁদের সরকারী চাকরি জুটতে পারে। অনেকখানি সুরক্ষিত হতে পারে একজন গায়কের জীবন।”