ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, বরাবরই চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়ে থাকেন এই অভিনেত্রী, কারণ একটাই তাঁর অভিনয় গুণ। দাপটের সঙ্গে পর্দায় নিজের চরিত্র যেভাবে বছরের পর বছর তুলে এসেছেন তিনি, তা এক কথায় বলতে গেলে দর্শক মনে খুব সহজেই পাকাপাকি জায়গা করে নিতে সময় লাগেনি বচ্চনবধূর। যদিও ব্যক্তিজীবনে নানা জল্পনায় জায়গা করে নিতে দেখা যায় তাঁকে। অভিষেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে নানা জনের নানা মত বর্তমান। যদিও ঐশ্বর্য কিংবা অভিষেক এই নিয়ে মুখ খোলেন না। কেউ বলেন তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক নেই, কেউ আবার বলেন, সবটাই রটনা। তবে এই জুটি এই বিষয় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করতে রাজি নন।
কেরিয়ারের শুরুতেই একের পর এক ভাল প্রজেক্ট ছিল তাঁর ঝুলিতে। যার মধ্যে অন্যতম হল সঞ্জয়লীলা ভনসালির দুই ছবি, এক হাম দিল দে চুকে সনম আর অপরটি হল দেবদাস। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবি দর্শক মনে ঝড় তুলেছিল। যেখানে প্রতিটা চরিত্রকেই খুব যত্নের সঙ্গে সাজিয়েছিলেন পরিচালক। ছবিতে পারফেক্ট করতে সঞ্জয়লীলা ভনসালি ঠিক কতটা পরিশ্রম করতে পারেন, কম বেশি তা সকলের জানা রয়েছে। তাই বলে ঐশ্বর্যের শাড়ির আঁচলে আগুন? মধ্যরাতে তা মাথায় আসে পরিচালকের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছবির পোশাক ডিজাইনার নীতা লুলা জানান, মাঝ রাতে একটি দৃশ্যের প্ল্যান পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পরিচালক সঞ্জয়লীলা ভনসালি। যে দৃশ্যে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন শাড়ির আঁচল উড়িয়ে শাহরুখে সঙ্গে দেখা করতে ছুটছেন, সেই দৃশ্যে তাঁর শাড়ির আঁচলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সঞ্জয়লীলা। তিনি বলেছিলেন ১৫ মিটার লম্বা শাড়ির ব্যবস্থা করতে। নীতু ঠিক তেমনটাই করেছিলেন। তারপরই শুট হয় এই দৃশ্যের।