সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর। চড়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হোটেল মালিক আনিসুল ইসলাম। একই সঙ্গে হুমকির অভিযোগও এনেছেন। সোহম ক্ষমা চাইলেও চিঁড়ে ভেজেনি। চন্ডিপুরের বিধায়ক সোহম। ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। তবে জানেন কি, ২০১৬ সালেও একবার তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সোহম? দাঁড়িয়েছিলেন বাঁকুড়ার বড়জোড়া থেকে। তবে মাত্র ৬০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি। সেই হার যে জীবনে কী অন্ধকার নিয়ে এসেছিল, তা নিয়েই অকপট বিধায়ক। কিছু মাস আগেই মুখ খুলেছিলেন টিভিনাইন বাংলার কাছে। কী বলেছিলেন তিনি?
তাঁর কথায়, “২০১৬ সালে আমি যখন ভোটে হেরে যাই, আমার এই ফোনটা টানা দেড় বছর শুধুমাত্র পড়ে থাকত। একটা কল পর্যন্ত আসত না, কাজ তো ছেড়ে দিন। কেউ ফোন করে জিজ্ঞাসাও করত না “কেমন আছ”? মাঝরাতে উঠে বসে পড়তাম। ঘুম আসত না, চোখে জল চলে আসত।” বলতে বলতেই গলা ধরে ওঠে সোহমের। চোখের কোণাতেও চিকচিক করতে থাকে জল। ছোট থেকেই কাজ করছেন সোহম। তবে তাঁর দাবি স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাঁকেও।
তিনি যোগ করেন, “এমনও হয়েছে বাসভাড়া দিতে পারব না বলে সেই রাস্তাটা হেঁটে গিয়েছি। লেক কালিবাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে বলতাম, “মা, আজ হাঁটাচ্ছ। কাল কিন্তু গাড়ি নিয়ে যাব।” লোকে হয়তো বিশ্বাস করবে না জল কিনে পয়সা নষ্ট করব না বলে থুতু গিলেছি। সুতরাং সবটাই শিক্ষা। মরে যাওয়া কোনও সমাধান হতে পারে না। যেদিন এটা বুঝে যাবে, সেদিনই জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠবে।” টলিপাড়ায় ভদ্র বলেই সুনাম রয়েছে সোহমের। তিনি কী করে এ ধরনের ব্যবহার করলেন তা নিয়ে অবাক সকলেই। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু ঘাটালের সাংসদ দেবও তাঁর পাশে নেই। স্পষ্টতই জানিয়েছেন চড় মারা তিনি সমর্থন করেন না। আগামী দিনে চড় ইস্যু কোনদিকে এগোয় এখন সেটাই দেখার।