‘মহামিছিলের নামে টাকা তোলা হচ্ছে…’, সকলকে সাবধান করে সোহিনী জানালেন সত্যিটা কী?

Sohini Sarkar: তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নামার ডাক তুলে বিভিন্ন দাবি আমি তিলোত্তমার পক্ষ থেকে দফায় দফায় সামনে এনেছেন তিনি। তবে এবার কানে এল প্রতারণার খবর। এই মহামিছিলের নাম করেই নাকি একশ্রেণি টাকা তুলছে।

'মহামিছিলের নামে টাকা তোলা হচ্ছে...', সকলকে সাবধান করে সোহিনী জানালেন সত্যিটা কী?
Follow Us:
| Updated on: Aug 30, 2024 | 7:22 PM

‘আমি তিলোত্তমা’ গ্রুপের উদ্যোগে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নামার আয়োজন করা হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। সকলের হাতে হাতে বর্তমানে ভাইরাল এই পোস্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন দাবি নিয়ে এই মিছিলের ডাক দিচ্ছেন সকলেই। থাকছেন সোহিনী সরকার থেকে শুরু করে বহু তারকা। তবে এরই মাঝে প্রতারণা! সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার সেই খবরই সামনে আনলেন অভিনেত্রী। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নামার ডাক তুলে বিভিন্ন দাবি আমি তিলোত্তমার পক্ষ থেকে দফায় দফায় সামনে এনেছেন তিনি। তবে এবার কানে এল প্রতারণার খবর। এই মহামিছিলের নাম করেই নাকি একশ্রেণি টাকা তুলছে। যা আদপে কাম্য নয়। কারণ এমন কোনও টাকা তোলার প্ল্যানই ছিল না তাঁদের বলেই সোশ্যাল পোস্টে দাবি করেন অভিনেত্রী।

এদিন সবিস্তারে খবর প্রকাশ্যে এনে সোহিনী লেখেন, আমরা খবর পেয়েছি, ‘Amra Tilottama-র ১ সেপ্টেম্বরের মহামিছিলের নামে টাকা তোলা হচ্ছে। কাজটি কার, সেটা এখনো বুঝতে পারা যায়নি। আমাদের পক্ষ থেকে এখনও অবধি কোনও টাকা চাওয়া হয়নি, হচ্ছে না। পরবর্তীতে হলে সর্বাগ্রে আমাদের পেজ থেকে সেই আবেদন পোস্ট করা হবে। সাবধান থাকুন। কেউ নিয়ে থাকলে বা এরপর কেউ চাইলে দয়া করে আমাদের জানান।’

প্রসঙ্গত, এদিনের এই মহা মিছিলের মূল দাবি কী কী, তারও এক তালিকা প্রকাশ্যে এনেছেন সোহিনী সরকার। যেখানে উল্লেখ রয়েছে–

প্রথমত, ‘সিবিআইকে আর জি করের স্বৈরাচার ও দুর্নীতির মূল ধারক-বাহক এবং তাদের বাকি সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দায়িত্বহীনতা এবং সেই সময়ে ঘটনাস্থলে তথ্য-প্রমাণ নষ্টের চেষ্টার জন্য তাকে ও বাকি দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষণ ও খুনের নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমস্ত সরকারি দপ্তরের সিন্ডিকেটরাজ সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।

তৃতীয়ত, দিনে ও রাতে যেকোন সময়ে, গণপরিসরে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের চলাচলের সুরক্ষা ও সমান অধিকার চাই।

চতুর্থত, নিয়ন্ত্রণ নয়, নজরদারি নয়, কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের সমমর্যাদা চাই।

পঞ্চম, স্কুলপাঠ্যে লিঙ্গ-সাম্যর এবং মানবাধিকার বিষয়গুলিকে আবশ্যক করতে হবে।

ষষ্ঠ, প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আই সি সি ও স্থানীয় এলাকায় এল সি সি করতে হবে এবং তা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ রাখতে হবে।’

‘সপ্তম, রাজ্যে সর্বত্র সুলভ শৌচাগার ও সুরক্ষিত গণ পরিবহন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে ২৪ ঘন্টা।

অষ্টম, রাতে হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের জন্য সুরক্ষিত বিশ্রামাগার চাই।

নবম, ফাস্টট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে অমীমাংসিত ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার কেসগুলির অতি দ্রুত মীমাংসা করতে হবে।’

‘দশম, ভিকটিম ব্লেমিং কাকে বলে, স্পষ্ট করে জানাতে হবে ও সেটিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এবং সবশেষে সর্বোপরি, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি নিঃশর্তভাবে মানতে হবে।’