সদ্যই করোনা-মুক্ত হয়েছেন সোনু সুদ। গতকালই (২৩ এপ্রিল) তাঁর রির্পোট নেগেটিভ এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেই সেই কথা তিনি জানিয়েছেন। করোনা-মুক্ত হয়েই ফের ত্রাতার ভূমিকায়।একটি মেয়ের জীবন বাঁচালেন তিনি।
নাগপুরে ২৫ বছরের এক তরুণী। করোনায় আক্রান্ত। ফুসফুস প্রায় ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে। কোনও ওষুধই আর কাজ করছিল না। চিকিৎসকরা সব রকমের চেষ্টা করেছিলেন। এখন একমাত্র উপায় ফুসফুসের প্রতিস্থাপণ। তবেই মেয়েটি বাঁচতে পারে। কিন্তু এই জটিল অপারেশন অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। কে দেবে এত টাকা? মেয়েটির পরিবার নেহাতই মধ্যবিত্ত। এই খবর পৌঁছেছিল ‘ত্রাতা মধুসূদন’ সোনু সুদের কাছে। তিনি নিজে তখন করোনায় আক্রান্ত। বাড়িতে নিভৃতবাসে। কিন্তু তাতে কী! চিকিৎসার অভাবে একটা তরতাজা তরুণীর প্রাণ চলে যাবে! বাড়িতে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি সোনু। হায়দ্রাবাদে একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত ব্যবস্থা তিনি করে দেন। শুধু চিকিৎসার ব্যবস্থা নয়, নাগপুর থেকে হায়দ্রাবাদে আসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করে দেন তিনি। একথা এখন সর্বজনবিদিত, সোনু সুদ শুধু পর্দার হিরো নন, তিনি বাস্তবেও সত্যিকারের হিরো।
মেয়েটির অপারেশন হয়েছে। তিনি ভাল আছেন, যদিও এখনও চিকিৎসাধীন। এই অপারেশন মোটেই খুব একটা সহজ ছিল না। সোনু সুদ বলেছেন, “চিকিৎসক বলেছিলেন এই ধরণের অপারেশনে সাফল্যের হার মাত্র ২০ শতাংশ। তবু আমি ওঁকে বলেছিলাম অপারেশন করতে। মেয়েটির বয়স মাত্র ২৫! ও ঠিক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে। আমি ওর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”
আরও পড়ুন:ফিট থেকেও কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন? জবাবে মিলিন্দ বললেন….
নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও মানুষের জন্য সমান তালে কাজ করে গিয়েছেন সোনু। কোনও বিরাম ছিল না। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কোভিড ভ্যাকসিনেশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করেছেন।