পুজোর চার দিন মানে কোনও নিত্য দিনের রুটিন নেই। ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, বাড়ি ফেরার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। শুধু চুটিয়ে আনন্দ ছাড়া আর কিছু নেই। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুজোর আনন্দে মাতেন বড় পর্দার তারকারাও। মুম্বইয়ের কাজল, রানি মুখোপাধ্যায় থেকে কলকাতার মিমি চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়েরা। সারাটা বছর কঠিন ডায়েটের মধ্যে থাকতে হয় তাঁদের। কিন্তু দেবীপক্ষ পড়ে গেলেই সব ডায়েটে, জিমের ছুটি। চলতি বছরেও তার অন্যথা হয়নি। প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর চারটে দিন পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে উদযাপন করেন টলিপাড়ার নায়ক-নায়িকারা। নানা ধরনের সাজে দর্শকের নজর কাড়েন তাঁরা। ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটলেই নানা রঙিন ছবি দেখা যায় টলিপাড়ার নায়িকাদের।
এ বছর ছড়িয়ে পড়েছিল অভিনেত্রী মিমির একটি মিষ্টি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে বন্ধু অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করছেন নায়িকা। পাতে রয়েছে ফিশ ফ্রাই-সহ অনেক ধরনের খাবার। অনেক ঠাকুরই তো জলে পড়ে গিয়েছে। তাহলে আবার কবে থেকে পুরনো রুটিন , জিম ডায়েটে ফিরছেন টলিপাড়ার নায়িকারা?
কেউ যে এক মিনিটও নষ্ট করতে রাজি নন তা বোঝা গেল অভিনেত্রীদের কথাতেই। কেউ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন জিমে যাওয়া। কেউ আবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করে দেবেন নিজের ডায়েট। এ প্রসঙ্গে মিমি জানালেন, পুজোতে মন ভরে খাওয়াদাওয়া করেছেন নায়িকা। তবে পুজো মেটার পর আর দেরি করতে রাজি নন। আগামিকাল অর্থাত্ মঙ্গলবার থেকেই জিম করবেন। সঙ্গে ডায়েটিং শুরু করছেন। একই কথা দেবলীনারও।
TV9 বাংলাকে দেবলীনা বলেন, “আমার কাছে জিম যাওয়া মানে প্রতি দিন অফিস যাওয়ার মতো। সোমবার থেকেই আবার শুরু করে দিয়েছি। আসলে এখানে না এসে আমি থাকতে পারি না। পুজোর চার দিন যেমন বাকিদের অফিস ছুটি থাকে। তেমনই জিমও ছুটি। তার পর আবার শুরু করে দিয়েছি।” শ্রাবন্তী অবশ্য এক সপ্তাহ দেরি আছে আবার পুরনো রুটিনে ফিরতে। কারণ, তাঁর ট্রেনার এখন নেই। নায়িকা বলেন, “আমি পরের সপ্তাহ থেকে জিমে যাব। আমার ট্রেনার এখানে নেই। আগামী সপ্তাহে ফিরলেই আবার শুরু করে দেব।” তবে এখনও সবার পুজোর রেশ যায়নি। কারণ, দুদিন পরেই যে লক্ষ্মী পুজো।