এ বছরের পুজোটা তাঁর কাছে কিছুটা হলেও একটু বেশি স্পেশ্যাল। বিয়ের পর প্রথম দুর্গাপুজো তাঁদের। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ এবং কাঞ্চন মল্লিকের। মার্চ মাসেই বিয়ে সারেন তাঁরা। কয়েক মাস হল সংসার পেতেছেন কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী। বিয়ের পর সব কিছুই নতুন নতুন। TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল শ্রীময়ীর সঙ্গে। বিয়ের পর প্রথম পুজো বলে কথা। নিশ্চয়ই অনেক কিছু পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। তবে শ্রীময়ীর কণ্ঠে শোনা গেল অন্য সুর। অন্যান্য বছরের তুলনায় খুব বেশি অন্যরকম হবে তেমনটা নয়। বিয়ের আগে কাঞ্চনের সঙ্গে বহু বছরের চেনা জানা শ্রীময়ীর। প্রায় ১২ বছরের পরিচয় তাঁদের। বিয়ের আগের পুজোগুলোও কি তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন? শ্রীময়ী বললেন, “বিয়ের আগের ১২ বছর পুজোয় ওই একটা দিন করেই আমাদের দেখা হত। কাঞ্চনদের বন্ধুদের একটি গ্রুপ ছিল। ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধবদের নিয়েই সেই গ্রুপ ছিল। তখনও ওদের সঙ্গে একটা দিন আড্ডা হত। খরাজদার বাড়িতে গানবাজনাও হত। অসাধারণ দিন কাটিয়েছি। এক দিন দেখা করার নিয়ম ছিল।”
শ্রীময়ীর বাড়ি মধ্য কলকাতায়। সেখানে অনেক বড় বড় প্যান্ডেল আছে। বিধায়ক পত্নী বললেন, “শেষ কয়েক বছর ধরে আমাদের এলাকা কাউন্সিলর ওকে (কাঞ্চন মল্লিক) নেমতন্ন করেন পুজোতে। সেই ওর সঙ্গে ষষ্ঠীর দিন একসঙ্গে যেতাম প্যান্ডেলে। অনেকগুলো ঠাকুর দেখা হয়ে যেত। তবে শুধু আমি আর কাঞ্চন ঘুরতে গিয়েছি এমনট নয়। ওর বন্ধু, বন্ধুর বউ-বাচ্চা সবাই মিলে ঘুরতে যেতাম। তবে এ বছরের পরিস্থিতিটা তো একেবারে অন্য রকম। অনেকটাই থমথমে পরিবেশ। রাস্তাঘাটে মানুষের আনন্দও কম। তবে সারাক্ষণ পরিবারের সঙ্গে কাটানোরই ইচ্ছা আছে। আমার জা এবং ভাসুরের সোসাইটিতে পুজো হয়। সেখানে একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে।” শ্রীময়ী যোগ করেন কাঞ্চন কালীঘাটে তাঁর পাড়ায় পুজো দিতে যাবেই। সেখানেও তাই তারকা জুটি এক দিন ঢুঁ দেবেন বলে ঠিক করেছেন।
কাঞ্চন পত্নী বললেন, “বাড়িতে বন্ধুরা আসবে। রাস্তায় ঘোরার খুব একটা পরিকল্পনা নেই। আর পুজোর শপিং যদি বলি এবছর বিয়েতে যা উপহার পেয়েছি। আগামী দু’বছর কিছু না কিনলেও আমার চলবে। আর কাঞ্চন না নিজে জামাকাপড় পছন্দ করে কিনে আনতে পারে না। তাই আমি শাড়ি কিনেছি। ও শুধু টাকাটা দিয়ে দেয়। ও আমার হাতে এটিএম কার্ডটা দিয়ে দেয়। আমি কাঞ্চনের জন্য কিনেছি অনেক জামাকাপড়। তবে মাঝে আমার অভিমান হয়েছিল যে আমি এতগুলো জামা কাপড় কিনে দিলাম এদিকে একটাও খুলে দেখল না। সেটা বলাতে নিজে সব গুছিয়ে রেখেছে। কাঞ্চন আমার বাবার জন্য কিনে এনেছে জামা।” এটাই প্রথম বছরের সিঁদুর খেলা শ্রীময়ীর। ফলে খুবই স্পেশ্যাল। কাঞ্চনকে নিয়ে কি সিঁদুর খেলবেন তিনি? শ্রীময়ী বললেন, “কাঞ্চন কি ভিড়ে যাবে। সেটা জানি না। কোথায় সিঁদুর খেলব আমি জানি না। তার পর ইচ্ছা আছে বাড়িতে ফিরে একসঙ্গে মিলে সিঁদুর খেলব।”