সকাল থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর একটি মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই। অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী সরাসরি কাঞ্চনকে ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। ক্ষোভ যখন তুঙ্গে তখন চুপ করে রইলেন না কাঞ্চন পত্নী শ্রীময়ী চট্টরাজ। এক লম্বা চওড়া পোস্ট করেছেন তিনি। একদা শাসক ঘনিষ্ঠদের অবৈধ প্রেমের কথা মনে করিয়ে ফুঁসে উঠলেন তিনি।
তাঁর কথায়, “আমি কখনওই কারোও ব্যক্তিগত স্তরে গিয়ে, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করি না। আজ বাধ্য হয়ে লিখলাম….আমার প্রেম থেকে বিয়ে পর্যন্ত, কিছু মানুষের কাজই ছিল বা আছে, সমাজমাধ্যমে তাদের মতামত দেওয়া অযাচিত ভাবে… তারা সমাজমাধ্যমে টাইপ করতেই বসে আছেন, সুযোগ পেলেই লেখা শুরু। কারোও বেডরুম নিয়ে কথা বলার আগে, নিজের বেডরুমের দরজার ফুটোটা দেখা উচিত।” এখানেই থামেননি তিনি। টলিউডের পরিচিত এক মুখ যিনি এই প্রসঙ্গে কাঞ্চনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তাঁর উদ্দেশ্যেও শ্রীময়ীকে বলেতে শোনা যায়, “একজন অভিনেত্রী লিখেছেন যে কিছু কিছু মানুষ রগর আর বিয়ে করার জন্য জন্মায়, আমি তার উদ্দেশ্যে বলবো, সেই মানুষগুলো তো তাও বিয়ে করার জন্য জন্মেছে, আর কিছু মানুষ রয়েছেন যারা আজকে হয়তো দল বদল করেছে, একটা সময় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা , দামী দামী গিফট নেওয়া, ঘুরতে যাওয়া, প্রেম প্রেম খেলা করা সবই করেছেন– শুধু বিয়েটা না করে অবৈধ প্রেমগুলো চালিয়ে গেছেন। সেই সময় তো এত সমাজমাধ্যম ছিল না এবং এ যে বন্ধুগুলো সাক্ষী ছিল সেই বন্ধুগুলো সমাজমাধ্যমে এত ভাল করে গুছিয়ে লিখতে পারত না তাই জন্য নিজেদের ভাগ্যবান মনে করা উচিৎ। আগে নিজের মেরুদন্ড সোজা রাখুক,তারপর অন্যের মেরুদন্ড দেখবে।”
কী বলেছিলেন কাঞ্চন যা নিয়ে এত বিতর্ক? রবিবার তৃণমূলের এক ধর্না মঞ্চে কাঞ্চন বলেন, “যাঁরা কর্মবিরতি করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। ভাল। তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো নাকি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না?” সরকারি পুরস্কার গ্রহণ করবেন কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। যে চিকিৎসকরা প্রায় এক মাস ধরে বিচার আর নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের উদ্দেশে কাঞ্চন বলেছেন, ‘এমন কোনও কাজ আপনাদের করা উচিত নয় যে ডাক্তার ভগবান বলতে দু’বার ভাবেন।” এর পরেই অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “অনেকদিন ধরে একসঙ্গে অভিনয় করেছি। ওকে আমার জীবন থেকে ত্যাগ করলাম। শুভবুদ্ধি ফিরে পাক। চাবিটা খুঁজে ফেলে আবার যোগাযোগ করব।” প্রতিবাদ করেন বিদীপ্তাও। মুখ খোলেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীও। তিনি বলেন, “আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট। আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নই। উনি প্রশ্ন করেছেন করুন। সে তো মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রশ্ন করতে পারেন।”