Srijato: ‘এইভাবে ফ্রি-তে আর কতদিন?’ কটাক্ষের মুখে কড়া জবাব দিলেন কবি শ্রীজাত

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Sep 24, 2024 | 6:14 PM

Srijato Bondhopadhya: বেশ কিছু মানুষের নজরে তা অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক কটুকথা শুনতে হচ্ছে কবিকে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেন শ্রীজাত। করলেন এক দীর্ঘ পোস্ট। 

Srijato: এইভাবে ফ্রি-তে আর কতদিন? কটাক্ষের মুখে কড়া জবাব দিলেন কবি শ্রীজাত

Follow Us

শহর কলকাতার অনেকেই এখন উৎসবে ফিরতে নারাজ। বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠান বর্তমানে বাতিলের খাতায়। যার ফলে গায়ক থেকে বাচিক শিল্পীদের অধিকাংশ অনুষ্ঠানই হচ্ছে বাতিল। আর এমনই পরিস্থিতিতে কবি শ্রীজাত আয়োজন করেছিলেন বারিশ-এর। কবির এই উদ্যোগে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। তিনদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য, জয়তি চক্রবর্তী, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, জয় সরকাররা। এখানেই বিপত্তি। বেশ কিছু মানুষের নজরে তা অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক কটুকথা শুনতে হচ্ছে কবিকে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেন শ্রীজাত। করলেন এক দীর্ঘ পোস্ট।

কী লিখলেন শ্রীজাত? 

‘বারিশ-এর স্বপ্ন যখন দেখতে শুরু করি, তখনও কলকাতার আকাশে মেঘ জমেনি, পথে পথে নামেনি মিছিল। আর পাঁচটা স্বাভাবিক বছরের মতোই এগোচ্ছিল সময়। লেখালেখির পাশাপাশি একেবারে আনকোরা কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করাটাও আমার একরকমের নেশা। তাই নতুন নতুন কাজে জড়িয়ে পড়েছি বারেবারে। কখনও আর-কারও ডাকে সাড়া দিয়ে, কখনও নিজেরই ডাকে। বারিশ ছিল আমার অনেকদিনের ডাক, নিজের প্রতি। সাড়া দিতে একটু দেরি হলো, এই যা।…’
‘২০২৫-এর বর্ষাও সেজে উঠবে নতুন রঙের মেঘে, তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। বৃষ্টি যেন আমাদের সব কালিমা ধুয়ে নিয়ে আবার কোনও এক পরিষ্কার আকাশের নীচে দাঁড় করাতে পারে, এটুকুই আমাদের চাওয়া। আমি জানি, আপনাদেরও।’
তবে ট্রোল্ড প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন না কবি। শেষে লিখলেন– ‘পুনশ্চ : ইদানীং এমন হয়েছে যে, বাঁকা কথা না-শুনলে ঠিক বুঝতেও পারি না, সোজা পথে আছি কিনা। কলকাতা বারিশ ঘোষিত হবার পর থেকে আজ অবধি তাকে ঘিরে যা যা বেকার ছলনাময় কটূক্তি চোখে পড়েছে, যেসব অপটু কুযুক্তির খেলনা চক্রব্যূহে তাকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে, যে-সমস্ত অকর্মণ্য আলস্যময় ট্রোলার্ণবেরা হাতে দেদার সময় পেয়ে খুঁতের অগ্রিম বুকিং চালিয়েছেন, তাতে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, বেশ করছি। এবং, আবার করব। বাঙালিদের মধ্যে কিছু মানুষ চিরকালই কাজ করে, বাকিরা জাজ করে। তবে হাতে-কলমে যাচাই না-ক’রে খোঁটা দেবার এই ব্যাপারটাকে আমি দুর্বলের লক্ষণ বলেই মনে করি। তাই জানাই, এ-বছর যেহেতু প্রচুর মানুষ টিকিট না-পেয়ে ফিরে গেছেন, তাই সামনের বছর থেকে কলকাতা বারিশ আরও বড় কোনও প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হবে, আরও বড় আকারেই। সকলের আমন্ত্রণ রইল। আপনারাও আসুন, একবার পকেটের পয়সা খরচ ক’রে দেখেশুনে পরখ ক’রে তারপর গালিগালাজ করে দেখুন, ভাল লাগবে। এইভাবে ফ্রি-তে আর কতদিন?’
Next Article