‘জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডে কিন্তু আমাদের সেলেবরা নিয়মিত টুইট করেছিলেন’, রিহানা-মিয়া বিতর্কে সরব স্বরা

Jun 17, 2021 | 2:02 PM

তাঁর প্রশ্ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়ে মারা গিয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড তখন কেন তা নিয়ে একের পর এক টুইট করেছিলেন ভারতীয় সেলেবরা?

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডে কিন্তু আমাদের সেলেবরা নিয়মিত টুইট করেছিলেন, রিহানা-মিয়া বিতর্কে সরব স্বরা
কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে স্বরা।

Follow Us

কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করায় ভারতীয় জনগণ এবং সেলেবকুলের একটা বড় অংশের রোষের শিকার হয়েছেন পপস্টার রিহানা, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, পর্ণঅভিনেতা মিয়া খলিফা। ভারতের সংহতি বিঘ্নিত করতে অপ্রপচার চালাচ্ছেন তাঁরা– এই অভিযোগে ওই আন্তর্জাতিক তারকাদের বিরুদ্ধে পোস্ট করেছিলেন অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণের মতো বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতারাও। ভারতের আভ্যন্তরীণ বিশয়ে কেন ‘বিদেশি’রা মত প্রকাশ করবে– প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। আর এখানেই আপত্তি জানিয়েছেন স্বরা ভাস্কর। তাঁর প্রশ্ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়ে মারা গিয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড তখন কেন তা নিয়ে একের পর এক টুইট করেছিলেন ভারতীয় সেলেবরা?

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ মে আমেরিকার মিনেসোটা শহরে জর্জ ফ্লয়েডকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। আমেরিকার কালো মানুষদের উপর ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল সারা পৃথিবী। শুরু হয়েছিল হ্যাশট্যাগ মুভমেন্ট #ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস। ভারতীয় সেলেবকুলও পিছিয়ে ছিল না। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে করণ জোহর– একের পর এক সেলেব টুইট করেছিলেন এ নিয়ে। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর প্রশ্ন, “আগে বুঝতে হবে আভ্যন্তরীণ বিষয় কী? পৃথিবীর কোনও একটি জায়গায় অন্যায় যদি হতে থাকে তবে সেটা আভ্যন্তরীণ বিষয়? যদি তাই হয়, তবে আমাদের চেনা চৌহদ্দির বাইরে কোনও কিছু নিয়েই আমাদের কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়।”


স্বরা যোগ করেন, “এতটাও আত্মকেন্দ্রিক হওয়া বোধহয় উচিত নয়। চারিদিকে যা হচ্ছে তাই নিয়ে আমাদের সরকার প্রতিনয়ত মন্তব্য করে থাকেন। তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ মায়ানমারের ঘটনা। আমাদের সরকার গ্লোবাল ইস্যু নিয়ে কথা বললে সেটা কেন আভ্যন্তরীণ বিষয় হবে না?” টেকনোলজির যুগে সমস্ত তথ্যই এখন সবার জন্যই খোলা– এমনটাই মনে করেন তিনি।


প্রসঙ্গত, রিহানা-গ্রেটার টুইটের পরে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছিল দেশের বাইরে থেকে অর্ধেক জেনেই তা নিয়ে মন্তব্য করছেন সুবিধেবাদী দল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একটি টুইটে লেখেন, “কোনও অপপ্রচারেই ভারতীয় ঐক্য নষ্ট হবে না”। এর পরেই একে একে টুইট করতে থাকেন অজয়-অক্ষয়-করণরা।
স্বরার কথায়, “আমার মনে হয় কৃষক আন্দোলন বর্তমানে একটি গ্লোবাল ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। যেভাবে সরকার কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সে কারণেই এটি হয়েছে। দেখবেন আন্তর্জাতিক সেলেবরা কিন্তু কৃষি বিল নিয়ে মন্তব্য করছেন না যেভাবে কৃষকদের সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তাঁরা। এতে সমস্যা কোথায়?”

Next Article