হ্যাঁ, এমনটাই দেখা গিয়েছে প্রকাশ্য কলকাতার রাস্তায়। একটি ঠেলা রিকশায় বসেছেন অপরাজিতা আঢ্য আর সেই রিকশা বুকের জোরে ঠেলে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। রিকশায় বসে অট্টহাসিতে অপরাজিতা। আর সুটেড-বুটেড হয়ে রিকশা ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বনাথ। তা হলে কি পেশা পরিবর্তন করলেন বিশ্বনাথ? অভিনয়ের পরে এটাই কি হতে চলেছে বিশ্বনাথের আগামী জীবন? এক্কেবারেই নয়। এটা একটা মজার অংশ। ধারাবাহিকে কামব্যাক করেছেন অপরাজিতা। অনেকগুলো বছর পর আবার তিনি ছোট পর্দায়। সম্প্রতি ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। সেখানে ‘লক্ষ্মী কাকিমা’ অপরাজিতা মুদির দোকান চালান। শুটিংয়ের ফাঁকে মস্করা করলেন অভিনেত্রী। যেমনটা সহজাতভাবে তিনি হামেশাই করে থাকেন।
অপরাজিতার শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঠেলা রিকশায় বসে আসেন অপা। সেই রিকশা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন এক মাঝবয়সি ভদ্রলোক। তিনি প্রফুল্ল মনে বসে আসেন দুটি বড় বাজারের ব্যাগ নিয়ে। এর পরই কাট টু। দেখা যাচ্ছে, বিশ্বনাথ বসু ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন রিকশাটি। আর রিকশায় বসে অপরাজিতা সেই চেনা হাসি হেসেই চলেছেন।
ক্যাপশনে অপরাজিতা লিখেছেন, “কাঠ ফাটা রোদ্দুরে শুটিং করছি ফুর্তির শেষ নেই”… সত্যি খুবই গরম পড়েছে। কিন্তু তাতে দম ফুরাচ্ছে না অপরাজিতার মতো চিরকালের বিজেতা অভিনেত্রীর। তিনি দিব্যি মেতেছেন শুটিংয়ের আনন্দে। সেই সঙ্গে মস্করা তো আছেই। এই তো জীবন। একদিকে যেমন ক্লান্তি, অন্যদিকে তেমনই ক্লান্তিকে জয় করে তরতাজা থাকা। সরাসরি শুটিংয়ের মুহূর্ত শেয়ার করলেন অপরাজিতা আঢ্য। তাঁকে সঙ্গ দিলেন আর এক হাসি খুশি প্রাণোচ্ছ্বল অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু।
দেখুন সেই মন ভাল করা ভিডিয়ো: