উৎসবের মরসুমে যখন দেশজুড়ে চলছে আনন্দের জোয়ার তখন অভিনেতা জিতু গুপ্তের পরিবারে নেমে এল চরম দুঃসংবাদ। হারালেন তাঁর ছেলেকে। বয়স হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর। জিতুর একমাত্র ছেলে আয়ুষ বেশ কিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর গায়ে জ্বর ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে ভেন্টিলেটরে স্থানান্তরিত করতে হয়। সে খবর ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন জিতু। একই সঙ্গে ভক্তদের কাছে ছেলের দ্রুত আরোগ্য কামনার জন্য করেছিলেন প্রার্থনা। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, “আমার ছেলের অবস্থা ভাল নয়। আমার ছেলের জন্য দয়া করে প্রার্থনা করুন”। কিন্তু হাজার প্রার্থনাতেও কিছু লাভ হয়নি। ছেলেকে ফেরাতে পারেননি জিতু। বৃহস্পতিবার রাত্রে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ছেলের একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, “আমার বাগানের একটি ফুল ঝরে গেল”। ফেসবুকেও ছেলের একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, “আমার ছেলে আয়ুষ আর নেই।” তাঁর মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কৌতুক শিল্পী সুনীল পাল জিতুর পোস্ট শেয়ার করে শোকবার্তা প্রদান করেন। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ভাবীজি ঘর পর হ্যায়’ ধারাবাহিকে ডাক্তার গুপ্তর চরিত্রে অভিনয় করেন জিতু। সন্তান হারানোক শোক যে কী নিদারুণ সে কথা স্মরণ করেই এই কঠিন সময়ে অভিনেতা পাশে পেয়েছেন তাঁর সহ অভিনেতাদেরও।
কিছু মাস আগেই প্রয়াত হয়েছেন ওই ধারাবাহিকের জনপ্রিয় শিল্পী দীপেশ ভান। বয়স হয়েছিল ৪১ বছর। বিয়ে করেছিলেন ২০১৯ সালে। রয়েছে এক বছরের এক শিশুপুত্রও। সুস্থই ছিলেন অভিনেতা। ছিল না কোনও শারীরিক সমস্যা, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল তেমনটাই। জিম শেষ করে এসেই বাড়ির লাগোয়া অঞ্চলে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। বল করছিলেন দীপেশ। এক ওভার বল করার পরেই নিচু হয়েই টুপি তুলতে যান। আর তখনই মাটিতে পড়ে যান দীপেশ। বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিট দূরে অবস্থিত হাসপাতালে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হলেও কিচ্ছু করা যায়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সিরিয়ালের সেটে সেই শোক এখনও তাজা। এরই মধ্যে এমন এক খবরে কার্যত বিধ্বস্ত বাকি কলাকুশলী ও অভিনেতাও।