ভাগ্যশ্রী, সলমন খানের প্রথম ছবি ম্যায় নে পেয়ার কিয়ার অভিনেত্রী। সলমন ও ভাগ্যশ্রী জুটি একে অন্যের সঙ্গে এতটাই মানিয়েছিলেন এই ছবিতে যে, বক্স অফিসে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছিল ম্যায় নে পেয়ার কিয়া। সলমন খান তখন বলিউডে নতুন মুখ। ছবি জনপ্রিয় হওয়ার পরই সলমন খান লক্ষ্য করেছিলেন, সকলেই ভাগ্যশ্রীর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। হঠাৎ করেই যেন সকলের চোখ থেকে উধাও সলমন খান। তবে কেরিয়ারে বড় বিপত্তি হয় ভাগ্যশ্রীর বিয়ের সিদ্ধান্তে। প্রথম ছবির পর অভিনেত্রীর বিয়ে ঠিক উপাদেয় হয়নি সলমনের জন্য। বলিউড যেন রাতারাতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সলমন খানের কাছ থেকে। মিলছিল না ছবি। সলমন খান নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, সকলেই যেন ভাগ্যশ্রীকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। প্রথম ছবির নায়িকার বিয়ে, সলমনের কেরিয়ারের জন্য বেজায় সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
এহেন বিয়েতে ভাগ্যশ্রীর পরিবার কতটা খুশি হয়েছিল! না, মেয়ের জীবনের এই বিশেষ দিনে থাকেনি কেউ সেভাবে পাশে। ভাগ্যশ্রী বর্তমানে একটি রিয়ালিটি শো-এর বিচাকর হিসেবে যোগদান করছেন। সেখানে শাদি স্পেশাল এপিয়োডে নিজের বিয়ের স্মৃতিতে ভাসলেন অনেকেই। তালিকা থেকে বাদ পড়েল না ভাগ্যশ্রী। জানালেন, তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসার সময় পরিবারের কেউই ছিল না তাঁর পাশে। সকলেরই ফিরিয়েছিলেন মুখ। তাঁর পক্ষ থেকে আসেনি তেমনভাবে কেউই।
ভাগ্যশ্রীর কথায়, তিনি আশা করেছিলেন যে সকলেই পাশে থাকবেন। কিন্তু দেখা যায় সেই বিশেষ দিনে পরিবারের তরফ থেকে কারুর না আশাটা আজও মনের গভীর ক্ষত। তাঁরা একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে নিয়েছিলেন। এরপর হানিমুনের জন্য পছন্দ করে নিয়েছিলেন কাশ্মীর। পেহেলগাঁও-তে গিয়ে নিজেদের মত করে করেছিলেন সেলিব্রেশন। বিয়ের ২৫ বছর সেলিব্রেশনেও তাই তিনি গিয়েছিলেন সেখানেই। পুরোনো সব স্মৃতি যেন এক পলকে হয়ে গিয়েছিল তরতাজা, জানান ভাগ্যশ্রী।