লক্ষ্মী কাকিমা ধারাবাহিকে প্রথম থেকেই একাধিক মোড়ে একাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছে লক্ষ্মী। ধারাবাহিকের কেন্দ্রে থাকা এই চরিত্রকে সেই মর্মেই গড়া, প্রতিটা মুহূর্তে এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের স্ত্রীর লড়াই যেখানে পরতে-পরতে স্পষ্ট। তবে হার মেনে নেওয়া নয়, পরিস্থিতির কাছে বশ্যতাও স্বীকার করে নেওয়া নয়। প্রতিটা পদক্ষেপে লক্ষ্মী নতুন রাস্তা খুঁজে বার করে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য। আর পাশে পেয়েছে পুত্রবধূ হংসিনীকে। তবে সব ক্ষেত্রে যে সমীকরণটা একই হবে তেমনটা নয়। হংসিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রথম থেকেই বেশ গভীর।
তবে এখন সেই ছবিটা গিয়েছে পাল্টে। হংসিনী আর লক্ষ্মীর পথ হয়ে গিয়েছে আলাদা। সেই সূত্রেই এখন আর লক্ষ্মী প্রয়োজনে তাকে আর ডাকে না। হংসিনীও আগের মত তাই লক্ষ্মীর পাশে থাকতে পারে না। অন্যদিকে এখন নতুন ব্যবসার প্ল্যানিং বিয়ে বেশ ব্যস্ত রয়েছেন লক্ষ্মী। তবে এবার সবটা একাই করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। হংসিনীকে এক প্রকার বাড়ি থেকে বেরই করে দিয়েছিলেন। তবে হংসিনী সেখান থেকে কোথাও যায়নি। কারণ তার বাড়ি তার কাছে এখনও নিরাপদ নয়। তবে লক্ষ্মীর সঙ্গে থেকে একযোগে কাজ করাতে দেখা দিয়েছে ফাটল।
অন্যদিকে সংসার টানতে ও সংসার ধরে রাখার চেষ্টায় একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন লক্ষ্মী। তাকে বারে বারে দেখা গিয়েছে ভয়ানক পরিস্থিতিতে রুখে দাঁড়াতে। লক্ষ্মী কোনও অবস্থাতেই ভেঙে পড়ে না। পরিবারে একাধিক জটিলতা, সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়াতে কখনও পিছপা হন না। কখনও তিনি বন্দুক হাতে রণমূর্তী ধারণ করছেন, কখনও আবার তিনি মায়ের মতই সব ভুল ক্ষমা করে আগলে রাখছেন পরিবারকে। তবে নতুন ব্যবসায় হাত দিয়ে তাকে কোন কোন সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাই এখন দেখার। এমনই প্লটে এখন লক্ষ্মী কাকিমা টিআরপি-র তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে শেষ সপ্তাহে। এখন দেখার আগামীতে কোন চমক অপেক্ষায় এই জি বাংলার ধারাবাহিক লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারে।