এই নিয়ে দু’বার। ধারাবাহিক প্রথমা কাদম্বিনীতে মাঝপথেই বাদ পড়েছিল শিশুশিল্পী মেঘান চক্রবর্তী। এ বার ফেলনাতেও তাকে রেখেই এগিয়ে গেল গল্প। কাঠগড়ায় করোনা। করোনার কারণেই টলিপাড়ায় শিশুশিল্পীদের অভিনয়ে আপাতত ‘না’। আর সে কারণেই ‘ফেলনা’র ট্র্যাকও এগিয়ে গেল আরও দশ বছর। ছোট্ট ফেলনার বদলে সিনে এন্ট্রি নিল কিশোরী ফেলনা- হিয়া দে।
ভক্তদের মন খারাপ। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল ওয়ালে ছোট্ট মেঘানকে নিয়ে একের পর এক পোস্ট। কেউ বলছেন, “মেয়েটার ভাগ্যটাই খারাপ”। আবার কেউ লিখেছেন, “ফেলনার মুখ বলতে যে মেঘানের কথাই মনে আসে।”
আরও পড়ুন- সোনু সুদকে একবার দেখতে খালি পায়ে ৭০০ কিমি হেঁটে মুম্বই পৌঁছলেন তরুণ!
আর মেঘান সে কী বলছে? মন কি খুব খারাপ তার? টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল মেঘানের মায়ের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “খারাপ তো লেগেছেই। তবে কাদম্বিনীর সময় আরও বেশি কষ্ট পেয়েছিল। ” কেন? সে কারণও জানিয়েছেন মেঘানের মা। তিনি বলেন, ” আসলে তখন তো আর করোনার ভয়াবহতা এতটা বুঝতে পারেনি ও। বাবার সঙ্গে ঘটনাটা হওয়ার পর নিজের চোখে সবটা দেখে ও এখন নিজেই বেরতে ভয় পায়।”
প্রসঙ্গত, মেঘানের বাবা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সম্প্রতি। হাসপাতালে দিন পনেরো কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। বা কোভিড থেকে বাড়ি ফেরার পর বাবাকে নিয়ে মিষ্টি পোস্ট করেছিল সে। বাবাকে ফিরে পেয়ে মেঘান লিখেছিল, “বাবা, তুমিই আমার সব। তোমাকে এতদিন ছেড়ে কখনো থাকিনি।… Covid এর সঙ্গে কঠিন লড়াই এ জিতে, তুমি ফিরে এসেছো। এতদিনের ভয়, মন খারাপ এবার শেষ…”।
কিন্তু মেঘানকে দেখা যাবে না ফেলনাতে এ খবরে মন খারাপ কিছুতেই কমছে না দর্শকদের। যদিও হিয়ার অভিনয় দেখতেও আশাবাদী তাঁরা। হিয়া এর আগে অভিনয় করেছে ‘পটল কুমার গানওয়ালা’তে কেন্দ্রীয় চরিত্রে। দর্শকের কাছে এখনও সে ‘পটল’ই। পটল ইমেজ ভেঙে দর্শক মহলে ফেলনা হতে পারবে সে? তা বলবে সময়।