অন্বেষা হাজরা এবং মিশমি দাস। এই দুই অভিনেত্রীকে পর্দায় সারাক্ষণ ঝগড়া করতেই দেখেন দর্শক। সৌজন্য এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিক। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যেই তার প্রকাশ ঘটে। ঠিক যেমন অন্বেষার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার তিনি যে কত ভাল বন্ধু পেয়েছেন, তা সদ্য শেয়ার করেছেন মিশমি।
অন্বেষার সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে মিশমি লিখেছেন, ‘জীবনে আমরা এমন কিছু মানুষকে খুঁজে পাই যাদের সঙ্গে রোজ কথা বলতে লাগে না, কিন্তু এক মাসে পাঁচ মিনিট কথা বললে এমন কথা হয় যে মন ছুঁয়ে যায়, অন্বেষা আমার জীবনে এমন এক মানুষ, আমাকে ইন্সপায়ার করে, আমাকে মোটিভেট করে, ভাল করার জন্য, ভাল থাকার জন্য। তুই খুব ভাল থাক এবং অনেক অনেক বড় হয়ে ওঠ। অনেক ভালবাসা।’
নিজের চরিত্র এবং অন্বেষার সঙ্গে অফস্ক্রিন সম্পর্ক নিয়ে TV9 বাংলাকে মিশমি আগেই বলেছিলেন, “আমাদের অফস্ক্রিন সম্পর্ক খুবই ভাল। একেবারেই অনস্ক্রিনের মতো নয়। আর রিনি চরিত্রটা খুবই মজার। কমেডি ড্রামা। টিপিক্যাল নেগেটিভ চরিত্র নয়। ফলে আলাদা। কাজটা করতে বেশ ভাল লাগছে।”
দুর্গা পুজোতে কোনও বারই কলকাতায় থাকেন না অন্বেষা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁদের বাড়িতে পুজো হয়। সেখানেই হইহই করে কেটে যায় পুজোর কয়েকটা দিন। বর্ধমানের মেমরিতে অভিনেত্রীর বাড়ি। কিন্তু পুজো মেমরির বাড়িতে হয় না। পুজো হয় তাঁদের গ্রামের বাড়িতে। মেমরি থেকে আর একটু ভিতরের দিকে ধানখেরু গ্রাম। এক সময় ওখানকার জমিদারি ছিল অন্বেষাদের। অনেক পুরনো বাড়ি। প্রায় ২০০ বছরের পুজো। মেমরির বাড়িও ২০০ বছরের পুরনো। কিন্তু গ্রামের বাড়ি আরও পুরনো। পুজো এমন একটা সময় সব আত্মীয় স্বজন গ্রামের বাড়িতে যান। সকলের সঙ্গে দেখা হয় বছরের ওই সময়টাতেই। তাই কলকাতায় থাকেন না কোনওবার। পুজোর ছুটি কাটিয়ে ফের কাজে ফিরেছেন তিনি।
বর্ধমানের অন্বেষা যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে ‘কাজললতা’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘চুনি পান্না’র মতো ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। ‘ঠাকুমার ঝুলি’, ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’তে একটা করে গল্পে কাজ করেছিলেন। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ তাঁর চতুর্থ ধারাবাহিক। প্রতি মুহূর্তে কাজ শেখার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন, Sudipa Chatterjee: ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ রচনার সাময়িক বিরতি, দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুদীপা