বাংলা মেগা ধারাবাহিকে নানা সময় নানা প্লট তৈরি করেন প্রযোজক-পরিচালকরা। কারণ অবশ্যই টিআরপি। সেই সব বিষয় যে সবসময় ভাল হয়, তা নয়, আবার অনেক সময়ই হয় খুবই মজাদার। আবার কখনও তাতে থাকে শিখনীয় বিষয়। কিংবা সমাজের পরিবর্তনের গল্প। যেমন, ‘মন ফাগুন’ মেগা ধারাবাহিক। গল্পে নতুনত্ব আনতে খুব গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়কে তুলে আনা হয়েছে। আমরা এগিয়েছি বলে দাবি করি। অথচ আজও আমাদের সমাজে পাত্র-পাত্রী বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে গৃহকর্মে নিপুণা, ফর্সা মেয়েদের কথা আলাদা করে উল্লেখ করা থাকে। মেয়েকে পড়াশোনা-রান্নাবান্না, মানে একেবারে দশ ভুজা হতে হবে। ২০২২ সালে এসে আজও মেয়েদের এই সব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
‘মন ফাগুন’ মেগা ধারাবাহিকে এই ভাবনার বদল আনার চেষ্টা করা হয়েছে। দেখানো হয়েছে ঋষি আর পিহুর আবার বিয়ে দেওয়া হবে। তবে এবার ভালবাসার নয়, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। আর তার জন্য পাত্রী নয়, পাত্রকে দিতে হবে পরীক্ষা। তাকে জানতে হবে রান্না। হয়তো মজার ছলে, তবে বিষয়টা সত্যিই ভাবার। শুধু মেয়েরাই কেন সারাজীবন পরীক্ষা দিয়ে যাবে, এবার কি আমরা বদলাতে পারি না?
প্রশ্ন থাকবে। উত্তর পাওয়ার আশা থাকবে। তবে এখানে এই বিষয়টা ছাড়াও আর একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঋষি চরিত্রে অভিনয় করছেন শন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দিতে হবে পরীক্ষা। রান্না করে পটাতে হবে হবু বউ পিহুকে। মজাটা ঠিক এখানেই। যদিও এটা মেগা ধারাবাহিকে দেখানো হয়নি, তবে ঘটনাচক্রে শন-এর সঙ্গে রান্নার একটা যোগসূত্র রয়েছে। তাঁর দিদিমা সুপ্রিয়া দেবীর অভিনেত্রী হিসেবে যেমন নাম রয়েছে, তেমনই তিনি দুর্দান্ত রাঁধুনিও, সেটা ইন্ডাস্ট্রির সকলেরই জানা। মহানায়ক উত্তম কুমার তাঁর হাতের রান্না খেতে ভালবাসতেন। তাছাড়াও অনেকেই ছিলেন তাঁর সমসাময়িক সহঅভিনেতারা, যাঁরা তাঁর রান্নার প্রশংসা করেছেন। সুপ্রিয়া দেবীর রেসিপি নিয়ে রয়েছে কৌতুহলও।
এবার ধারাবাহিকে শেফ শন। তাঁকে তো ভাল রান্না করতে হবে বউকে পেতে হলে। তিনি রান্না জন্য কি দিদিমার রেসিপি বইয়ে ভরসা করেছেন, না কি শুধুই শেফের অভিনয় করে বিষয়টা সামলেছেন, তা অবশ্য রহস্যই রয়েছে। না ধারাবাহিকে, না শনকে পাওয়া গিয়েছে উত্তরের জন্য। তিনি ব্যস্ত শুটিংয়ে। না কি রান্না শিখতে। খোঁজ চলছে….