AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আদিবাসী পরিচারিকার ভাষা নিয়ে উপহাস করে ভিডিয়ো, জুটল চরম নিন্দা, ক্ষমা চাইলেন সেলেব জুটি

ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। সমালোচনার মুখে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা দেয়ে আরও এক ভিডিয়ো পোস্ট করেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, আমরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছি। আমাদের এমন উদ্দেশ্য ছিল না।"

আদিবাসী পরিচারিকার ভাষা নিয়ে উপহাস করে ভিডিয়ো, জুটল চরম নিন্দা, ক্ষমা চাইলেন সেলেব জুটি
ক্ষমা চাইলেন সেলেব জুটি
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2021 | 8:29 PM
Share

পরিচারিকা আদিবাসী। আত্মীয়ের সঙ্গে নিজের ভাষাতেই কথা বলছিলেন তিনি। কিন্তু ‘ভাষা’ই মালিকের কাছে হয়ে উঠিল রসিকতার কন্টেন্ট। তা নিয়ে গোটা ভিডিয়োই বানিয়ে ফেললেন অভিনেত্রী সম্ভাবনা শেঠ এবং তাঁর স্বামী অবিনাশ দ্বিবেদী। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে উঠল কটাক্ষের ঝড়। ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন ওই তারকা দম্পতি।

ভিডিয়োটি মুছে দিয়েছেন ওঁরা। কিন্তু তাঁর আগেই তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আদিবাসীদের অধিকার এবং ভাষা সংরক্ষণের দাবিতেও সওয়াল করা বিভিন্ন গ্রুপ থেকে তা শেয়ার করে চরম নিন্দা জানানো হয় ওই সেলেব জুটিকে। নেটিজেনদের থেকেও জুটতে থাকে চরম তিরস্কার। নিজের দেশের মাটির কাছাকাছি এক ভাষার এ হেন ‘অপমান’-এ গর্জে ওঠে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। কী ছিল ওই ভিডিয়োতে?

ভিডিয়োতে অবিনাশকে বলতে শোনা যায়, পরিচারিকা ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। যে ভাষায় কথা বলছিলেন, তা তাঁর জানা নয়। পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী জানতে পারেন তা তাঁর গ্রামের ভাষা। তাঁর সম্প্রদায়ের ভাষা। ঝাড়খণ্ডের সিমদেগা অঞ্চলের বাসিন্দা ওই পরিচারিকা কথা বলছিলেন তাঁর আত্মীয়ের সঙ্গে। এর পরেই পরিচারিকাকে এবং তাঁর ভাষাকে খানিক ব্যঙ্গ করেই হাসতে শুরু করে দেন ওই সেলেব জুটি, বলতে থাকেন, “এ আবার কী ধরনের ভাষা”। ভিডিয়ো আপলোড করেন এই ক্যাপশনে ‘দিদির ভাষা শুনে হাসতে হাসতে মরে গেলাম।’

আরও পড়ুন- এক সিরিজেই বাজিমাত, বলিউডকে স্থায়ী ঠিকানা বানাতে বন্ধু রশ্মিকার পথেই হাঁটছেন সামান্থা!

এর পরেই ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। সমালোচনার মুখে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা দেয়ে আরও এক ভিডিয়ো পোস্ট করেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, আমরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছি। আমাদের এমন উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা আগে ওই ভাষা শুনিনি। কিন্তু আপনাদের প্রতিক্রিয়ায় জানতে পেরেছি ঝাড়খণ্ডের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ওই ভাষায় কথা বলেন। ভবিষ্যতে আর এরকম ভুল হবে না।” ক্ষমা চেয়েছেন ঠিকই, বিতর্ক থামেনি এখনও।