তাঁর সরলতা ভালবেসেছিল দর্শক। পঞ্জাবে জনপ্রিয়তা লাভ করলেও বিগবসের মাধ্যমে তিনি ছুঁয়েছিলেন দেশের মানুষের হৃদয়ও। কথা হচ্ছে শেহনাজ গিলের। কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক ব্যবহার একেবারেই পছন্দ হল না নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। এমনকি ভক্তদের তরফেও জুটল ধিক্কার। এই মুহূর্তে বলিউডে বেশ কিছু হাই বাজেট ছবির অফার রয়েছে তাঁর কাছে। রয়েছে সলমন খানের সঙ্গে ছবির অফারও। শেহনাজের দিন কাটছে চরম ব্যস্ততায়। প্রতিদিনই থাকছে ছবির শুটিং। এমনই এক দিনে শুটিং চলাকালীন স্পট শেহনাজের ছবি তুলতে হাজির হয়ে যায় পাপারাৎজি।
শেহনাজের সঙ্গে পাপারাৎজির সম্পর্ক বেশ এমনিতে বেশ ভাল। তাঁর আচার ব্যবহার এযাবৎকাল প্রশংসিতও হয়ে এসেছে। কিন্তু এ কী! শেহনাজকে দেখামাত্র পাপারাৎজি ছুটে যাওয়া মাত্রই ছবি তুলতে অস্বীকার করেন শেহনাজ। উপরন্তু তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যাও এখন, আমি ভীষণ ব্যস্ত রয়েছি।” এখানেই শেষ নয়, পাপারাৎজির মধ্যেই একজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, “কেমন আছেন আপনি”? শেহনাজ উত্তরে বলেন, “আমি যদি বলি আমি ভাল নেই তাহলে আপানার কী করবেন? ওষুধ দেবেন?” প্রশ্নকর্তা খানিক হকচকিয়ে যান। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘দুয়া (প্রার্থনা) করব’। পাল্টা শেহনাজকে বলতে শোনা যায়, “কী হবে প্রার্থনা করে”? শেহনাজের এই আচরণই পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। তাঁদের প্রশ্ন, “সহজ-সরল শেহনাজ কি তবে সাফল্য সামলাতে না পেরে এমনটা হয়ে গেল”? যদিও শেহনাজ ঘনিষ্ঠদের মতে আগের মতোই রয়েছেন তিনি। তবে সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যুর পর শেহনাজ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত। তিনি বুঝে গিয়েছেন এই জীবন বড়ই গোলমেলে। কখন যে কী হয় তা কেউ জানে না।
প্রসঙ্গত, এ মাসের ২ সেপ্টেম্বর ছিল সিদ্ধার্থ শুক্লার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর মৃত্যু বার্ষিকীতে যখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শোক প্রকাশ করেছেন তখন ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি বাক্যও খরচ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছিলেন, সিদ্ধার্থ নিজে যেহেতু তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে চিরকালই ছিলেন নিরব, তাই সিদ্ধার্থের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতেই তাঁকে নিয়ে কোনও পোস্টই আর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে করবেন না শেহনাজ গিল। কিন্তু এই বদলে যাওয়ার দাবি? নেটিজেনরা সম্মতি দিলেও ঘনিষ্ঠরা মানতে একেবারেই নারাজ।