কলকাতার চার দেওয়ালের সেট নয়। এই মুহূর্তে খড়কুটো পরিবারের আস্তানা কালিম্পংয়ের পাহাড়। আগামী এক সপ্তাহ তাঁদের সঙ্গী হতে চলেছে পাহাড়ি রাস্তা, উঁচু-নিচু ঢালু পথ আর একরাশ হুল্লোড়। আউটডোর শুটে ই সেখানেই উড়ে গিয়েছেন ওই ধারাবাহিকের সকল কলাকুশলীরা।
ধারাবাহিকের মুখ তৃণা সাহা ওরফে গুনগুনকে টিভিনাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলেই তিনি বলেন, “কালিম্পংয়ের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে শুট হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহ এখানেই আছি। ভীষণ মজা করছি সকলে মিলে।” শুধু গুনগুন নয়, মজায় মেতেছেন সকলেই। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা কৌশিক রায় ওরফে সৌজন্যর ছবিও তাই পোস্ট করা হচ্ছে অনস্ক্রিন স্ত্রীর প্রোফাইল থেকে। সঙ্গে রিল ভিডিয়োস তো রয়েছেই। তাঁরা কাজে গিয়েছেন, ধারাবাহিকের প্লট মেনে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার দৃশ্য দেখানো হবে। সেই কারণেই তাঁদের এই কালিম্পং ভ্রমণ। ডিসেম্বর প্রায় আগত, ঠাণ্ডাও পড়েছে জমিয়ে। তাতে যদিও থোড়াই কেয়ার তাঁদের। চলছে মজা আর নেটিজেনরা বুঁদ সৌগুনের ভেকেশনে।
একদিকে তৃণা যখন পাহাড়ে নীল ব্যস্ত কলকাতায় শুটিং। আর মাস দুয়েক পরেই তাঁদের বিয়ের এক বছর পূর্ণ হবে। এই এক বছরে বিয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছুদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন নীল। বলেছিলেন, “আগে বাড়ি এসে বোর হয়ে যেতাম। এখন বাড়ি ফিরলে মনে হয় বউ আছে। রাত জেগে কথা হয়। সিনেমা নিয়ে আলোচনা হয়। একাকীত্ব কেটেছে বউয়ের জন্য। আর চাপ? না আমাকে অন্তত নিতে হচ্ছে না। ম্যানহুডে বদল আসেনি। জীবনযাত্রাও ঠিক আগের মতোই আছে। যারা বলে থাকেন বিয়ে মানেই হেব্বি চাপ, তাঁদের বলে রাখি বিয়ে করলে কোনও অতিরিক্ত চাপ হয় না। ওটা ভাবলেই চাপ, না ভাবলেই চাপ নেই।”
আপাতত, খড়কুটো টিম পাহাড়ে। দর্শকদের জন্য কী সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে তা জানবার জন্য মুখিয়ে অনুরাগীরা।