তুনিশা শর্মার মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগড়ায় শিজান খান। একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিনেত্রী তুনিশার পরিবার ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। শিজান এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে। নেটিজেনরাও শিজানকে ছেড়ে কথা বলছেন না। কখনও তাঁর ধর্ম পরিচয় আবার কখনও বা তাঁর পুরনো সম্পর্ক উঠে আসছে আতসকাচের। ভাইকে নিয়ে যখন একের পর এক অভিযোগ উঠছে তখন মুখ খুললেন শিজানের দিদিরা। শিজানের দুই দিদি– শাফাক নাজ ও ফালাক নাজ। এই দুইজনই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটি বিবৃতি শেয়ার করেছেন। বিবৃতিতে তাঁদের প্রশ্ন, “একটি ধর্মের কারণের কি ভাইয়ের জন্য এত ঘৃণা’? বিবৃতিতে তাঁরা লিখেছেন, “মন ভেঙে যায় যখন দেখি আমাদের নীরবতা আমাদের অক্ষমতা ভেবে নেওয়া হয়েছে। একেই বোধহয় ওরা ‘ঘোর কলিযুগ’ বলে। আমার ভাইয়ের সম্পর্কে এই সব লেখার আগে প্রমাণ কই? যে সব মানুষ সিজানকে এত নিচ দেখাচ্ছেন তাঁদের কাছে প্রশ্ন, পরিস্থিতির কারণেই কি করছেন, নাকি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি ঘেন্না উগরে দিচ্ছেন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তুনিশার মা বলেছিলেন, “নিজের পরিবারের সঙ্গে তুনিশাকে এতটাই জড়িয়ে নিয়েছিল ওই ছেলে যে আমার মেয়েও ক্রমে ।আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল। তুনিশাকে ও ফাঁসিয়েছিল। ওর পরিবার হমকি দিত। ওকে উর্দু শেখানো হয়েছিল। ও উর্দুতে কথা বলতেও শুরু করে।” এর আগে তুনিশার কাকা দাবি করেছিলেন, শিজানের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকেই নাকি হিজাব পরতে শুরু করেন তুনিশা। তাঁর আচার ব্যবহারও বদলে যায়। অন্যদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, অন্য মহিলার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল শিজানের।
গত ২৪ ডিসেম্বর ‘আলিবাবা – দস্তান- ই- কবুল’-এর সেটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তুনিশার দেহ। শোনা যায়, সিজানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তুনিশা। ওই ধারাবাহিকে কাজ করছিলেন শিজানও। তুনিশার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মুহূর্তে শিজান জেল হেফাজতে। তদন্তের গতি কোনদিকে এগোয়, এখন সেটাই দেখার।