EXCLUSIVE TRP Topper: সাদামাঠা গল্পেও টিআরপিতে একনম্বর লক্ষ্মীকাকিমা; কোন রসায়নে সম্ভব, জানালেন অপরাজিতা-দেবশঙ্কর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sneha Sengupta

Jul 27, 2022 | 11:49 PM

Laksmi Kakima Superstar: TV9 বাংলার কাছে মুখ খুললেন 'লক্ষ্মীকাকিমা' অপরাজিতা আঢ্য ও দেবশঙ্কর হালদার।

EXCLUSIVE TRP Topper: সাদামাঠা গল্পেও টিআরপিতে একনম্বর লক্ষ্মীকাকিমা; কোন রসায়নে সম্ভব, জানালেন অপরাজিতা-দেবশঙ্কর
কী বললেন অপরাজিতা-দেবশঙ্কর?

Follow Us

কূটকচালি, নায়কের একাধিক স্ত্রী, দুই বউয়ে রেষারেষি অশান্তির মাঝে একটু অন্যরকম বাতাস নিয়ে এসেছে একটি ধারাবাহিক, যার নাম ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’। প্রধান দুই চরিত্রে অপরাজিতা আঢ্য ও দেবশঙ্কর হালদার। অনেকগুলো বছর পর দুই অভিনেতা সিরিয়ালের পর্দায় স্বমহিমায় ফিরে এলেন। এর আগে একজন চুটিয়ে সিনেমায়, অন্যজন বড় পর্দা-মঞ্চেই ছিলেন মেতে। প্রযোজক ও লেখক সুশান্ত দাস দু’জনকে একসঙ্গে নিয়ে এলেন এই ধারাবাহিকে। উদ্দেশ্য একটাই, দর্শককে অন্য স্বাদের গল্প উপহার দেওয়া। মাস খানেকের অপেক্ষার পর গত সপ্তাহে ‘লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার’ টিআরপি লিস্টে প্রথম হয়েছে। আগামীকাল ফের প্রকাশ্যে আসবে টিআরপি লিস্ট। জানা যাবে কোথায় অবস্থান করছে ‘লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার’। তার আগে TV9 বাংলার সঙ্গে কথা বললেন অপরাজিতা আঢ্য ও দেবশঙ্কর হালদার।

কী বললেন অপরাজিতা আঢ্য?

মানুষ যেভাবে সিরিয়াল দেখতে অভ্যস্থ, সেই তুলনায় গল্পটা আলাদা। কোনও গিমিক নেই, কোনও সাজগোজ নেই, সেটের কোনও জাগলারি নেই… কেবল আছে সাধারণ মধ্য়বিত্ত পরিবারের গল্প। প্রথম থেকে টিআরপি ছিল ৫-এর মধ্যে। যদিও আমি নম্বরে বিশ্বাস করি না। আমার সবচেয়ে ভাল সিরিয়ালের কোনও টিআরপি ছিল না। সেটা ছিল ঋতুপর্ণা ঘোষের ‘গানের ওপারে’। কোনওদিনও টিআরপি ২-এর উপরে ওঠেইনি। ফলে সব ভাল সিরিয়ালের যে টিআরপি হয়, তা কিন্তু নয়। ‘লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার’ সিরিয়ালে আমার আর দেবশঙ্কর হালদারের চরিত্র দুটোকে সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে। আমার সঙ্গে যখন চ্যানেলের কথা হয়েছিল, এটা বলেই নিয়েছিলাম অবাস্তব গল্প থাকলে আমি করব না। আমি সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলাম, অরগ্যানিক গল্প হলে কি সেই সিরিয়াল তৈরি করার সাহস তোমাদের আছে? ওরা বলেছিল, সময় লাগবে। আমি বলেছিলাম, সে লাগলে লাগবে। তারপর তো আমরা এক নম্বর হলাম।

কী বললেন দেবশঙ্কর হালদার?

টপার হওয়া নিয়ে আমি কোনওদিনও চিন্তাই করি না। তবে এটাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি জানি। যাঁরা প্রযোজনা করেন কিংবা গল্প নিয়ে চিন্তা করেন, তাঁদের সবটাই ওই বিষয়টার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু টিআরপির কথা ভেবে কোনওদিন কোনও কাজ আমি করিনি। চেষ্টা থাকে একটাই, যে পরিসরেই কাজ করি না কেন, নিজের সেরাটা যেন দিতে পারি। সেটা দিতে পারলেই আমি খুশি। তখনই নিজেকে টপার বলে মনে হয়। ‘লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার’-এর কাজটা করতে আমার ভাল লেগেছে। ধারাবাহিকের নিজস্ব চলন আছে। তবে আমি মনে করি, ‘ভালমন্দ যাহাই ঘটুক, সত্যেরে লও সহজে’। এটাই তো আমাদের মূল মন্ত্র। এই ধারাবাহিকে আমার চরিত্রের নাম দেবু। সে একটি মাছের আরতে কাজ করে। সে আবার নাট্যচর্চাও করে। নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ সে। কিন্তু সেই নিম্নমধ্যবিত্ততার মধ্যেও যে স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেটাই ‘দেবু’ হয়ে ওঠা। আমার মনে হয়েছিল, পর্দায় মাছের আরতের দেবু নানা কাজের মধ্যেও নাট্যচর্চা চালিয়ে যায়। সে কিন্তু বলে না ‘ধুর এসব করে কী হবে’! সে বিশ্বাস করে ‘হাল ছেড় না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড় জোরে’। ক্যামেরার এপারে আমি একজন্য নাট্যকর্মী, ওপারেও তাই। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি, দৈনন্দিন কাজে থেকেও তাঁদের এই শখগুলো পূরণ করা হয়নি। আমার মনে হল, সেই মানুষগুলোর কথা বলা দরকার। সেই জন্যই কাজটা করতে রাজি হয়েছিলাম।

Next Article