সারা দেশ জুড়ে দৈনিক সংক্রমণ ছাড়িয়েছে তিন লক্ষ। একদিকে অক্সিজেনের আকাল অন্যদিকে হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার জন্য দেখা দিয়েছে শয্যা-সঙ্কট। এমতাবস্থায় ভাইরাস নিয়ে বেশি আলাপ আলোচনা না করার নিদান দিলেন অভিনেত্রী জুহি চাওলা। পাশপাশি জানালেন, এক ঘণ্টার বেশি মাস্ক পরলেই খুলে ফেলতে ইচ্ছে করে অভিনেত্রীর। কষ্ট হয়। দম বন্ধ হয়ে আসে। তাঁর মতে যত বেশি ভাইরাস নিয়ে আলোচনা হবে মানুষ তত বেশি ভীত হয়ে পড়বে। পাশপাশি দেশজুড়ে করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে যে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা একেবারেই যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন জুহি।
তাঁর কথায়, ” শুট চলাকালীন ইউনিট মেম্বারদের ১২ ঘণ্টা মাস্ক পরতে বলা আবার একই সঙ্গে তাঁদের দেহ থেকে নির্গত কার্বনডাইঅক্সাইডের মধ্যেই শ্বাস নিতে বলা মানে তো ওঁদের শরীরেরই ক্ষতি করা। একমাস এমনটা করার পর ওঁদের কী হবে ভেবে দেখেছেন??”
আরও পড়ুন- ‘বাজে অভিনয়…বাচ্চা গ্যাংস্টার…’, আলিয়াকে আক্রমণ কঙ্গনা রানাওয়াতের
নিজের উদাহরণও দিয়েছেন জুহি। সাফ জানিয়েছে এক ঘণ্টা পর মাস্ক পরার পরেই তা খুলে ফেলতে ইচ্ছে করে তাঁর। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তাঁর কথায়, “এই আমাকেই যদি ১২ ঘণ্টা মাস্ক পরতে বলা হয়, আমি তো পারব না।” তাহলে কী করা উচিত? জুহি জোর দিয়েছেন ইমিউনিটি বুস্টিংয়ের ক্ষেত্রে। নির্ভর করতে চলেছেন যোগাভ্যাস এবং আয়ুর্বেদের ঊপর।
তাঁর কথায়, করোনা নিয়ে ঘন ঘন তথ্য, আলোচনা, মানুষকে আরও ভীত করে তুলছে। দুশ্চিন্তা থেকেও অনেকে শ্বাস নিতে পারছেন না। মানুষ ভীত হলে এমনটা হয়। সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু কেউই যোগ সাধনা বা আয়ুর্বেদের কথা বলছেন না।” জুহি যখন ওই দুই নিদান দিয়েছেন তখন গোটা মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের চিত্রটা ভয়াবহ। সেলেব থেকে সাধারণ– নিস্তার নেই কারও। বন্ধ হয়েছে শুটিং। জারি হয়েছে কার্ফু।