সাড়ে সাত বছর সংসার করেও কেন সন্তান এল না দেবলীনা-তথাগতর জীবনে? অভিনেত্রী ফাঁস করলেন সত্য…
Debolina Dutt Speaks: সাড়ে সাত বছরের বিবাহিত জীবন, তার আগে লিভ ইন... সবটা মিলিয়ে প্রায় ১০ বছরের সম্পর্ক অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত এবং অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়ের। সংসার করেও তাঁরা সন্তানের জন্ম দেননি। কেন এই সিদ্ধান্ত? মুখ খুললেন অভিনেত্রী দেবলীনা...

অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাড়ে ন’বছরের সম্পর্ক ছিল অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তর। তার মধ্যে সাড়ে সাত বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের। সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের কারণেই মূলত আলাদা-আলাদা জীবনে হাঁটতে শুরু করেছেন দেবলীনা-তথাগত। এই কথা সকলেই জানেন। তবে সাড়ে সাত বছরের বিবাহিত জীবনে থাকা সত্ত্বেও সন্তান জন্মের কোনও পরিকল্পনাই কেন করলেন না দেবলীনা-তথাগত? তাঁদের সন্তান জন্ম নিলেও কি আলাদা হত পথ? আলাদা হলে সেই সন্তানের কী হত ভবিষ্যৎ, সবটাই দেবলীনা মন খুলে ব্যক্ত করেছেন TV9 বাংলা ডিজিটালের প্রতিবেদককে।
বৃহস্পতিবার (১৩.০৬.২০২৪) হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও অভিনেত্রী কলব্যাক করলেন। রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় গাড়িতে উঠেই শান্ত স্বরে জানালেন, এই নিয়ে কথা বলতে তাঁর কোনও কুণ্ঠা নেই বরং তিনি কথা বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। তথাগতর থেকে আলাদা হয়ে গিয়েও কোনও তিক্ততা পুষে রাখেননি মনে। বরং কৃতজ্ঞতা জাহির করেছিলেন। TV9 বাংলা ডিজিটালকে তিনি আগেই বলেছিলেন, “তথাগতর সঙ্গে কাটানো ন’টা বছর আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর সময়। এটা আমার অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই।” আর যদি সন্তান থাকত? তা হলেও কি তাঁদের পথ আলাদা হত? “হত”, সাফ বললেন দেবলীনা। সঙ্গে এও বললেন, “কে বলেছে আমাদের সন্তান নেই? আছে তো? আমরা সেই সন্তানদেরও কো-প্যারেন্টিং করি। আমাদের বায়োলজিক্যাল সন্তান থাকলেও সেটাই করতাম।”
কোন সন্তানদের কো-প্যারেন্টিং করেন দেবলীনা-তথাগত? সেই সন্তানরা কারা? নাম কী তাঁদের? করে কী? তাঁদের সন্তানদের নাম চেরি-মোগলি-বাঘিরা। এরা প্রত্যেকেই চারপেয়ে সারমেয়। এরাই দেবলীনা-তথাগতর সন্তান। বাঘিরাকে উদ্ধার করেন তাঁরা। খোড়া ছিল সে। এখন আর সে নেই এই পৃথিবীতে। দেবলীনা বলেছেন, “এরাই আমার আর তথাগতর সন্তান। আমরা এদের কো-প্যারেন্টিং করি।” দেবলীনা জানিয়েছেন, এই চারপেয়ে সন্তানদের কারণেই তাঁদের আর বায়োলজিক্যাল সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়েনি। অভিনেত্রী বলেছেন, “ওরাই তো আমাদের সন্তান। ওদের কারণেই আমরা সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্রেভিংস ফিল করিনি। চারপেয়ে সন্তানরাই সেই অভাব দূর করেছে। কিন্তু যদি তথাগত চাইত, আমি সন্তানের জন্ম দিতাম।”
এই কথা প্রসঙ্গে একটা বিষয় খোলসা করেছেন দেবলীনা। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, তাঁর কিংবা তথাগতর নিজের জন্য কোনও সন্তানের প্রয়োজন পড়েনি কোনওকালে। কিন্তু দেবলীনা যদি চাইতেন তথাগত রাজি হতে এবং তথাগত যদি চাইতেন দেবলীনা সন্তান ধারণের জন্য রাজি হতেন। বলেছেন, “আমরা নিজেদের জন্য নয়, কিন্তু একে-অপরের ইচ্ছাপূরণ করতেই সন্তানের জন্ম দিতাম। আমার ইচ্ছেতে তথাগত রাজি হত। আর তথাগতর ইচ্ছাতে আমি রাজি হতাম। আমাদের কারওই সেই ইচ্ছা জাগেনি। তাই একে-অপরের জন্য সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও পড়েনি। কিন্তু যদি আমাদের সন্তান থাকত, তাকে সুন্দর করে মানুষ করতাম আমি আর তথাগত। আলাদা-আলাদা থেকেও। এটুকু বলতে পারি।”
