সিনেমায় অ্যাক্টো করে ‘অন্যরকম’ মেয়ে মানুষ হয়ে গিয়েছিলাম, তাই বাবা ভয়েই বিয়ে দিতে চাননি: সাবিত্রী

Sneha Sengupta |

Jan 08, 2024 | 1:47 PM

Sabitri Chattopadhyay Secrets: এদিকে একে-একে দিদিদের বিয়ে হয়ে যায় সাবিত্রীর। ৯'জনই শ্বশুরঘর করেছেন। ব্রাত্য থেকেছেন কেবল সাবিত্রীই। কিন্তু কেন? এ ব্যাপারে নিজের আত্মজীবনী 'সত্যি সাবিত্রী'তে তো বটেই, 'দাদাগিরি'র মঞ্চেও মুখ খুলেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী। বলেছিলেন, "বাবার নজরে আমি সিনেমা লাইনের মেয়ে বলে অন্যরকম..."

সিনেমায় অ্যাক্টো করে অন্যরকম মেয়ে মানুষ হয়ে গিয়েছিলাম, তাই বাবা ভয়েই বিয়ে দিতে চাননি: সাবিত্রী
উত্তমকুমারের বাহুডোরে সাবিত্রী।

Follow Us

অভিভক্ত ভারতে জন্ম হয় বাংলার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় তাঁর। সেই মেয়েবেলায়। দেশভাগের পর ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে এসেছিলেন সাবিত্রী। ঘটিবাটি সবই তখন কাঁটা তারের ওপারে জবরদখল হয়ে গিয়েছে তাঁদের। হাতে নেই কিছুই। বাবার একার রোজগারে সংসার চলে না। তার উপর সাবিত্রীরা ১০ বোন। তিনিই সকলের ছোট। তাই সাবিত্রীর উপরই সংসার টানার দায় ভার চলে আসে সেই বালিকা বয়সেই।

এদিকে একে-একে দিদিদের বিয়ে হয়ে যায় সাবিত্রীর। ৯’জনই শ্বশুরঘর করেছেন। ব্রাত্য থেকেছেন কেবল সাবিত্রীই। কিন্তু কেন? এ ব্যাপারে নিজের আত্মজীবনী ‘সত্যি সাবিত্রী’তে তো বটেই, ‘দাদাগিরি’র মঞ্চেও মুখ খুলেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

তিনি বলেছিলেন, “আমার যে পুরুষকেই পছন্দ হত, তিনদিন পরে জানতে পারতাম তাঁর একটা বউ আছে।” ফলে বিবাহিত পুরুষকে ফের বিয়ে করতে পারেননি সাবিত্রী। কিন্তু পুরুষটি বিবাহিত জেনে কি তিনি মনকে আয়ত্তে রাখতে পেরেছিলেন? একেবারেই না।

সাবিত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল উত্তর কুমারের। সাবিত্রীর জন্য আসা বিয়ের সম্বন্ধ নিজ প্রয়াসে ভেস্তেও দিতেন মহানায়ক। কিন্তু তিনি নিজে কোনওদিনও আইনি স্বীকৃতি দিতে পারেননি তাঁর প্রাণের সাবুকে। সেই সম্পর্কের পর অভিনেতা সর্বেন্দ্র সিংকেও ভালবেসেছিলেন সাবিত্রী। মনে-মনে তাঁকেই স্বামী ভেবে পুজো করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সেই সর্বেন্দ্রও ছিলেন বিবাহিত। সাবিত্রীর কট্টরপন্থী বাবা তাঁর উপর বলেছিলেন এক আশ্চর্য কথা। তিনি নাকি বলেছিলেন, “ফিলিম লাইনে এসে আমার ছোট মেয়ে সাবিত্রী অন্যরকম হয়ে গিয়েছে।” এই ‘অন্যরকম’ মেয়েমানুষটা ঠিক কীরকম তা অবশ্য় বলতে চাননি সাবিত্রী। তবে একথা নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, তাঁর বাবা নাকি টাকা পয়সা নিয়ে ভীষণ কথা শোনাতেন। সময় মতো টাকা না পেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করতেন সাবিত্রীকে। কোনও আক্ষেপ না করে সেই গালিগালাজ মেনেও নিতেন অভিনেত্রী।

Next Article