আর কিছুক্ষণ পরেই জানা যাবে উচ্চ মাধ্যমিকে কেমন নম্বর পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা। আজকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছেলে মেয়েদের জন্য সত্যি খুব বড় দিন। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টটি তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। কোন কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে, নির্ভর করবে এই উচ্চ মাধ্যমিকের রেজ়াল্টের উপরই। আজকের দিনের আরও একটা তাৎপর্য রয়েছে। আজ আবার রবীন্দ্রজয়ন্তী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজ়াল্ট এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন–দুটোকে যদি একসঙ্গে মেলানো যেত, কী ফলাফল হত! প্রত্যেক পরিস্থিতির জন্য গান লিখে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। আচ্ছা,পরীক্ষার রেজ়াল্ট নিয়ে কি কোনও গান লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই নিয়ে মঙ্গলবার অনেক রাতে TV9 বাংলার সঙ্গে আড্ডা দিয়েছিলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী।
বহু বছর আগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে ইমন চক্রবর্তী। তিনি ভালই নম্বর পেয়েছিলেন। কলা বিভাগ নিয়ে পড়তেন। উচ্চমাধ্যমিকে পাস করে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন। এই ইমনের জীবনে রবীন্দ্রনাথ হলেন সেই ব্যক্তি যিনি গায়িকাকে সুখে-দুঃখে-যন্ত্রণায়-বেদনায়-আনন্দে-প্রেমে সারাটাক্ষণ উজ্জীবিত করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজ়াল্ট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইমন বললেন, “আর কিছুক্ষণ পরেই তো রেজাল্ট। এই পরিস্থিতিও কিন্তু গান বেঁধেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আজ রেজ়াল্ট দিতে যাওয়ার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে একটাই গান বেজে উঠবে, “বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা।”
পশ্চিমবঙ্গের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে বেশ আশাবাদী ইমন। বলেছেন, “আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা কিন্তু মেধাবী। আমার পূর্ণ আস্থা আছে ভালই রেজাল্ট করবে সকলে।” ইমন চক্রবর্তী বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভাময়ী গায়িকা। অতি অল্প বয়সে তিনি জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। কেবল তাই নয়, ইমন চক্রবর্তী কিন্তু তাঁর প্রথম প্লেব্যাকেই স্বীকৃতি পেয়েছেন।