আরজি কর কাণ্ডের এক মাস। উত্তপ্ত গোটা শহর। সবাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদে নেমেছেন। বাদ নেই কেউই। সাধারণ মানুষ থেকে সিনেমাপাড়ার তারকারা সবাই রয়েছেন সেই তালিকায়। তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের প্রার্থনায় রাজস্থানের আজমের প্রার্থনা করতে গেলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী। আরজি কর ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর সবাই সবার মতো করে প্রার্থনা করছেন। এ দিন বন্ধুদের সঙ্গে দরগায় ক্যামেরাবন্দি হলেন নায়িকা। হাতে চাদর আর ফুল। হাসিমুখে ফ্রেমবন্দি নায়িকারা।
বেশ কয়েকটা ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন,”শান্তির জন্য প্রার্থনা। ন্যায় বিচারের প্রার্থনা।” তবে নায়িকাদের এই পোস্ট দেখে আর এক নায়িকার প্রবল হিংসা তৈরি হয়েছে। নিজেকে আটকে রাখতে পারলেন না তিনি। প্রকাশ করে ফেললেন মনে লুকিয়ে থাকা হিংসার অনুভূতি। শ্রাবন্তী ছবি পোস্ট করতে না করতেই একগুচ্ছ মন্তব্য এসেছে নায়িকাদের ছবিতে।
তারই মধ্যে চোখে পড়ল টলিপাড়ার আর এক নায়িকার পোস্ট। তিনি লেখেন, “আমারে ছেড়ে? ভগবান আমাদের সবাইকে শান্তি দিক।” শ্রাবন্তী এবং তনুশ্রীর সঙ্গে নুসরতের বন্ধুত্বের কথা সকলের জানা আছে। অনেক দিন ধরেই যে তাঁদের এই সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা সমাজমাধ্যমের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যায়। কখনও তাঁরা একসঙ্গে বাড়িতেই পার্টি করেন। কখনও পুজোর মজলিস বসে। এমনকি নুসরত যখন সন্তানসম্ভবা ছিলেন। তখনও শ্রাবন্তী, তনুশ্রীর সঙ্গেই নায়িকার ছবি ভাইরাল হয়েছিল।
বোঝাই যাচ্ছে তাঁদের বন্ধুত্ব ঠিক কতটা গভীর। তাই দুই বন্ধু তাঁকে না নিয়েই আজমের শরিফে চলে গিয়েছেন তা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না নায়িকা। তনুশ্রী অবশ্য নুসরতকে জবাবে লেখেন, “হ্যাঁ, ন্যায়ের জন্যই প্রার্থনা।” তিলোত্তমা কাণ্ডে বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন শ্রাবন্তী, তনুশ্রীরা। নুসরতকে সে ভাবে কোনও জমায়েতে না দেখে অনেকে তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও করেছিলেন। তবে কাউকেই কোনও উত্তর দেননি অভিনেত্রী।