কলকাতায় এলিয়েন। হ্যাঁ, আপনার শহরেই এলিয়েন এসে পড়েছে। যদি সত্যিই এমন ঘটে, কী হবে বলুন তো?
ঠিক সেই ভাবনা নিয়েই শর্ট ফিল্ম ‘ওয়েভ লেন্থ’-এ কাজ করেছেন পরিচালক রুদ্রজিৎ রায়। ২৬ মিনিটের এই শর্ট ফিল্মে বরুণ চন্দ এবং অরিত্র দত্ত বণিকের অভিনয় দেখবেন দর্শক।
রুদ্রজিৎ পেশায় চিকিৎসক। সিনেমা তাঁর প্যাশন ‘চেজিং মাই ড্রিম’ নামে তৈরি তাঁর প্রথম তথ্যচিত্র ২৬টিরও বেশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বলে দাবি করলেন। ‘ওয়েভ লেন্থ’ প্রসঙ্গে পরিচালক TV9 বাংলাকে বলেন, “এটা আমার দু’বছর আগের লেখা গল্প। দু’বছর ধরে প্রি প্রোডাকশন করেছি। এই সায়েন্স ফিকশন থ্রিলারে যে টেকনোলজি, ভিএফএক্স ব্যবহার হয়েছে, যখন দেখলাম সেটা কলকাতায় তৈরি করা সম্ভব, তখন শুরু করলাম। ফিচার হিসেবেই কাজ করার চেষ্টা করেছি। যাতে দর্শক থ্রিলটা পেতে পারেন। আমি ভিস্যুয়ালি এমন কিছু বলতে চাই, যেটা সবার থেকে আলাদা। এলিয়েন নিয়ে এমন কাজ ভারতে আগে হয়নি।”
চিত্রনাট্য অনুযায়ী এক একনিষ্ঠ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের ছাত্র অভিমন্যুর বেদম একগুয়েমিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ছবির গল্প। সে প্রমাণ করেই ছাড়বে যে পৃথিবী ছাড়াও অন্য কোনও গ্যালাক্সির অন্য কোনও গ্রহে নিশ্চিত প্রাণের সন্ধান পাওয়া সম্ভব। অভিমন্যুর ঠাকুরদা, হিমাদ্রী সেন, এক সময়ের বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী, এখন ডিমেনশিয়ার জন্য আর কিছু মনে রাখতে পারেন না। তিনি নিজেও এক্সট্রাটেরেস্টিয়াল জীবন নিয়ে গবেষণা করতেন এবং কোনও অজ্ঞাত কারণে তিনি নিজের প্রায় সফল গবেষণা, এমনকি সামগ্রিক বিজ্ঞান থেকে অবসর নেন। এই ছবিতে অভিমন্যুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অরিত্র দত্ত বণিক এবং ঠাকুরদাদার চরিত্রে বরুণ চন্দ। চিত্রনাট্য লিখেছেন রাহুল রয়, ক্যামেরায় মানস ভট্টাচার্য, মিউজিক ডিরেকশন সৌম্য রিতের। রুদ্রজিৎ জানালেন, ছবির কাজ প্রায় শেষ। পোস্ট প্রোডাকশনের শেষ পর্যায়ে রয়েছে ছবিটি। তৈরি হওয়ার পর প্রথমে দেশ, বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠাবেন তাঁরা। তারপর মুক্তি পাবে এই ছবি।
আরও পড়ুন, ‘ম্যায় হুঁ না’য় দেখানো খবরের কাগজের লেখা ১৭ বছর পর ভাইরাল! কেন?
আরও পড়ুন, ম্যাগাজিন কভারের জন্য টপলেস ফটোশুটে চমক কৃষ্ণা শ্রফের