বছর ৬ আগে কলকাতায় শুরু হয়েছিল ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’র প্রচার। প্রচার চালিয়েছিল কলকাতার ট্র্যাফিক পুলিশ। রাস্তায় বাইক দুর্ঘটনা রুখতে হোর্ডিং পড়েছিল শহর জুড়ে। এবং সেই প্রচারে কালজয়ী রোম্যান্টিক বাংলা ছবি ‘সপ্তপদী’তে ব্যবহৃত এই ‘পথ যদি না শেষ হয়’-এর কিছু দৃশ্য ব্যবহার করেছিল কলকাতা পুলিশ। আসলে তারা বোঝাতে চেয়েছিল, সিনেমার পর্দায় যতই নায়ক-নায়িকা বাইক কিংবা স্কুটার আরোহণের সময় হেলমেট ছাড়া ঘুরে বেড়ান না কেন, বাস্তব জীবনে তেমনটা করলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী।
কাট টু, ছ’ বছর পর। অভিনেতা-সাংসদ দেব কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘প্রজাপতি’র কিছু দৃশ্য। যেখানে অভিনেতা-সাংসদ দেব বাইক আরোহণ করছেন কখনও একা, কখনও বা নায়িকার সঙ্গে। এবং তাঁর মাথায় হেলমেট রয়েছে প্রতিটি দৃশ্যে।
ছবি পোস্ট করে দেব তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, “রিল অর রিয়াল, হেলমেট পরা কিন্তু মাস্ট… ”
আসলে যতই প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হোক না কেন, মানুষকে সতর্ক করা হোক না কেন, জনগণের একটা বড় অংশ প্রভাবিত হয় সিনেমার-সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকাদের কীর্তিকলাপ দেখেই। পর্দার ‘হিরোগিরি’ দেখে সাধারণ মানুষ তাঁদের আদর্শ মনে করেন। তাঁদের হিরো ওয়ারশিপ করেন। এবং তাঁদেরই অনুকরণ করতে শুরু করেন। এবং অনেক সময় দেখা যায় তাতে বিপদ বাড়ে। বলিউডের আইকনিক বাইক-সং ‘রোতে হুয়ে আতে হ্যায় সব’ (মুকাদ্দর কা সিকন্দর) অথবা ‘ইয়ে দোস্তি হম নেহি তোড়েঙ্গে’ (শোলে) অথবা ‘জাদু হ্যায়, তেরা হি জাদু হ্যায়’ (গুলাম)… কোথাওই হিরোর মাথায় নেই হেলমেট। সেদিক থেকে দেখতে গেলে অনেক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হাতিয়ার কিন্তু হতেই পারে সিনেমা-সিরিয়াল। যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন দেব।