পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (FTII) থেকে ডিরেকশন নিয়ে পড়াশোনা করছেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালের পুত্র অমর্ত্য রায়। অভিনয়ও করেন তিনি। ভবিষ্যতে ছবি পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে তাঁর। এফটিআইআই-তে পড়তে-পড়তেই অমর্ত্য তৈরি করেছেন একটি শর্ট ফিল্ম, যার নাম ‘পোর্ট্রেট ২০২০’। করোনাকালের কিছু বীভৎসতাকে অমর্ত্য তুলে ধরেছেন তাঁর ১০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে। ছবিটি মুভিসেন্টস ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিম করতে শুরু করেছে সম্প্রতি। ছবির অন্যতম প্রযোজক অমর্ত্যর তারকা মা চৈতি ঘোষাল।
চৈতি ঘোষাল (ছবির দৃশ্যে)…
এক করোনায় মৃত, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এক মানসিকভাবে অন্যরকম ব্যক্তি, কোভিডকালে চাকরি হারানো একাকী মা, শহর ছাড়া নবদম্পতির সেই সময়কার জীবনযুদ্ধের ৬টি সিন শুট করা হয় এই ছবির জন্য। সংবাদ মাধ্যমকে অমর্ত্য বলেছেন, “সামাজিক ও মানসিকভাবে প্যান্ডেমিক আমাদের জীবনকে কতখানি ছারখার করে দিয়েছে, তারই জীবন্ত দলিল আমার এই ছবি।”
ছবিটি বহু চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে। পিএসবিটি (PSBT – পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট) প্রতিযোগিতায় পেয়েছে প্রথম পুরস্কার। অমর্ত্য বলেছেন, “জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত হয়েছে আমাদের এই ছবি।”
ছবির পোস্টার এবং একটি দৃশ্য…
ছবির অন্যতম প্রযোজক এবং অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল জানিয়েছেন, “প্রযোজক হিসেবে আমি ভীষণ খুশি যে ছবিটা সাড়া ফেলেছে। যতটা পয়সা খরচ করেছিলাম, তার চারগুণ ফেরত পেয়েছি। ছবিতে আমি একাকী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি।”
অমর্ত্যর প্রথম বাংলা ছবি ‘উড়নচণ্ডী’। ট্রাক ড্রাইভারে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। হিন্দি ছবি ‘২২ ইয়ার্ডস’-এ অভিনয় করেছেন। অজয় দেবগণের ময়দান ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি ডাবিং শেষ করেছেন সেই ছবিরও। নতুন প্রজন্মের উজ্জ্বল প্রতিভা অমর্ত্য। তিনি গান লেখেন এবং গান করেনও।