৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর ৬৯তম সিডনি চলচ্চিত্র উৎসব যা আজ ৮ জুন শুরু হয়েছে, সেখানে ভারতের প্রবাদ প্রতিম চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) সিনেমা দেখানো হবে। রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগে ১০টি ছবি দেখানো হবে। সিডনি চলচ্চিত্র উৎসবের প্রাক্তন পরিচালক ডেভিড স্ট্রাটন কর্তৃক কিউরেট করা বিশেষ বিভাগের জন্য ১০টি ক্ল্যাসিক ছবি নির্বাচিত করা হয়েছে পরিচালকের।
সত্যজিৎ রায়ের রেট্রোস্পেক্টিভ দেখানোর কথা ঘোষণা করেন চলচ্চিত্র উৎসবের বর্তমান পরিচালক নাশেন মুডলি। শুধু তাই নয়, মর্যাদাপূর্ণভাবে তিনি পরিচালকের প্রতি শ্রদ্ধাও জানান। ১৯৬৫ আর ১৯৮০ সালেও সত্যজিৎ রায়ের ছবি উৎসবে দেখানো হয়েছিল। তবে এবার পরিচালকের শতবর্ষের জন্মদিবস উপলক্ষে এই আয়োজন। গত বছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি। এবার পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার কান চলচ্চিত্র উৎসবও সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে তাঁর পরিচালিত ছবি দেখিয়ে আর ছবির সংরক্ষণ করে।
চলচ্চিত্র উৎসবের বর্তমান পরিচালক নাশেন মুডলি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, “সত্যজিৎ রায় বিশ্বের অন্যতম শ্রদ্ধেয় চলচ্চিত্র নির্মাতা। প্রথম এবং সর্বাগ্রে একজন সাহসী এবং দূরদর্শী পরিচালক এবং লেখক। তাঁর প্রতিভা বিস্তৃত ছিল, যা তাঁর অনেক চলচ্চিত্রের জন্য তৈরি বিস্ময়কর সুরের মুর্ছনা থেকে বোঝা যায়। ১৯৫৫ সালে তাঁর প্রথম ছবি পথের পাঁচালী দিয়ে শুরু করে, সত্যজিৎ রায় প্রকৃতি আর আনুষ্ঠানিকতার একটি মিশ্রণ রেখে ছিলেন ছবির মধ্যে। তাঁর ছবির মধ্যে সরলতা এবং জটিলতার একটি অনন্য ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর সিনেমাগুলো প্রায় পুরোটাই সেট তৈরি করে করা হয়েছে। যা এখন পশ্চিমবঙ্গে সংরক্ষিত রয়েছে। ছবিগুলি সুন্দরভাবে, গর্বের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতি এবং সমাজের জন্য সেগুলি সর্বজনীন,”।
উৎসব আয়োজকদের তরফ থেকে প্রকাশিত আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাগুলো সেই যেমন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল, তা এখনও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক৷ মার্টিন স্কোরসেস এবং ওয়েস অ্যান্ডারসন সহ পরিচালকদের উপর তাঁর প্রভাব বিশাল।মজার বিষয় হল, এর আগেও সত্যজিৎ রায়ের দুটি ছবি সিডনি চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল। প্রথমটি ১৯৬৫ সালে ‘মহানগর’ এবং ১৯৮০ সালে ছিল ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’।
এই বছর যে ১০টি ছবি দেখানো হবে চলচ্চিত্র উৎসবে তার তালিকায় রয়েছে–পথের পাঁচালি (১৯৫৫), অপরাজিত (১৯৫৬), জলসাঘর (১৯৫৮), অপুর সংসার (১৯৫৯), দেবী (১৯৬০), মহানগর (১৯৬৩), চারুলতা (১৯৫৪), নায়ক (১৯৬৬), সীমাবদ্ধ (১৯৭১), শতরঞ্জঁ কি খিলাড়ি (১৯৭৭),