আসানসোল থেকে মায়ানগরীর দূরত্ব বেশ খানিকটা। কথায় বলে মুম্বইয়ে নাকি রাত্রি নামে না। ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি, পাপারাজ্জির হাঁকডাক, গসিপের স্রোত সেখানকার অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায়। আসানসোলের মেয়েটি মায়ানগরীতে শুধু পা-ই নয়, রীতিমতো সাম্রাজ্য বিস্তারের পথে। সম্প্রতি রণবীর সিংয়ের সঙ্গে করে এসেছে বিজ্ঞাপনের কাজও। রণবীর অবশ্য তাঁর নাম শুনে বেজায় হেসেছেন। কেন?
নাম অঙ্গনা রায়। ছোটবেলাতেই হাতেখড়ি হয়েছিল অভিনয়ে। আসানসোলে মামার বাড়ি। একটা বড় সময় বেড়ে ওঠা সেখানেই। মুম্বইয়ের ব্রেক কীভাবে পেলেন? উচ্ছ্বসিত অঙ্গনা টিভিনাইন বাংলাকে বললেন, “দেবালয় (ভট্টাচার্য)দার দ্য গার্ল বলে সিরিজটির শুট ছিল বম্বেতে। তাঁর পাঁচ-ছয় দিন আগে এই বিজ্ঞাপনে অডিশনের অফারটা আসে। আমি ভাবিওনি পেয়ে যাব।” অনেকেই অডিশন দিতে এসেছিল। তবে পরিচালক পছন্দ করেন তাঁকেই।
রণবীর ঠিক কেমন? বলতে বলতে উচ্ছ্বাস যেন গলা দিয়ে ঝরে পড়ছিক অঙ্গনার। বলছিলেন, “ভীষণ মজা করেন। সারাক্ষণ সেট মাতিয়ে রেখেছেন। হইহল্লা করছেন। আমাকে দেখেই বললেন থ্যাঙ্ক গড তুমি অঙ্গনা, কঙ্গনা নও।” অতবড় নায়কের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গনার কি বুক দুরুদুর হয়েছিল? তা হয়নি, রণবীরকে গিয়েই বলে দিয়েছিলেন, “আই অ্যাম আ হিউজ অ্যাডমায়রার অব ইওরস”। তবে তাঁর যে এই প্রথম বলিউডে কাজ এমনটা নয়। এর আগে মিসেস আন্ডারকভারেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। টলিউডেও শুরু করেছেন কাজ। শিলাদিত্য মৌলিকের ‘লুকোচুরি’ দিয়েই নায়িকা হিসেবে টলিউডে আত্মপ্রকাশ করবেন তিনি।
নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখতে চান না। বলি-টলি মিলিয়ে কাজ করতে চান চুটিয়ে। ছোটবেলায় তরুণ মজুমদারের ‘আলো’ ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মেয়ে হয়েছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রীই হবেন। সেই স্বপ্ন ডানা মেলেছে অবশেষে। এখন শুধু সযত্নে লালন করার সময়।