বিগত কয়েক মাসের হিসেব-নিকেশ যদি করতে বসা হয়, তা হলে দেখা যাবে বাঙালি অভিনেতা জিতু কামালের জীবনে যোগের থেকে বিয়োগ হচ্ছে বেশি। কিছুদিন ধরে চলল তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে নানা আলোচনা। স্ত্রী নবনীতা দাসের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের খবর আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল খুব। নবনীতার সঙ্গে জিতুর বয়সের ফারাক অনেকটা। বিচ্ছেদের সময়ও আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন জিতু। বিবাহ বিচ্ছেদের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম ব্যক্ত করেছিলেন নবনীতাই। এবার ফের বিয়োগ ঘটল জিতুর জীবনে। ২০১৭ সালে কেনা তাঁর অতি প্রিয় লাল-কালো গাড়িটি বিক্রি করলেন অভিনেতা। সেই গাড়িতে আদর করে লাল ষাঁড় বলে ডাকতেন জিতু। এবং সেই যন্ত্রণার কথাও তিনি ফেসবুকে লিখেছেন।
জিতু লিখেছেন, “আমার আরেক প্রিয়’র ছুটি হল। অনেক উঠা-পড়ার সাক্ষী ছিল এই লাল ষাঁড়। বহু রাতের আশ্রয়ও ছিল আমার ৭২৭২…। আজ, মিলিয়ে যাওয়ার সময় সত্যিই চোখটা চিক-চিক করে উঠেছিল। কেন! তা, লিখে বা বলে বোঝাতে অক্ষম বন্ধু। ছোট্ট ছিল, কিন্তু বড্ড আপন ছিল।”
২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছে জিতু কমলের কেরিয়ারের সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি ‘অপরাজিত’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক অনীক দত্ত। সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ নির্মাণের উপর তৈরি হয়েছিল ‘অপরাজিত’। ছবিতে অপরাজিত রায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জিতু। যে অপরাজিতকে তৈরি করা হয়েছিল সত্যজিতের আদলে। আরও বেশি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডুর প্রস্থেটিক মেকাপের গুণে জিতু কামালকে হুবহু দেখতে লেগেছিল সত্যজিৎ রায়ের মতোই। সে এক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।
এই ছবি করার সময় নিজেকে আমল পাল্টে ফেলেছিলেন অভিনেতা। ঘর বন্ধ করে মহড়া দিতেন। সে সময় স্ত্রী নবনীতার সঙ্গেও আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। তখন নবনীতাই হয়ে উঠেছিলেন জিতুর মেরুদণ্ড। হয়তো গুরুত্ব পালন করেছিল তাঁর এই লাল ষাঁড়ও।