এক জলপরীর কাহিনি। অন্য ধরনের বিষয়ভাবনা। ঠিক ছিল বর্ষাকালে মুক্তি পাবে বাংলা ছবি ‘ভটভটি’। অনেকদিন থেকে চলছে সেই পরিকল্পনাই। করোনা ও লকডাউনের কারণে আটকে ছিল ছবির মুক্তি। হল রিলিজ় করবেন বলেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিম হতে দেননি নির্মাতারা। আগামী ১১ অগস্ট বাংলার হলে মুক্তি পাবে ছবিটি। সেদিনই মুক্তি পাবে আরও দুটি হেভিওয়েট ছবি। দুটিই হিন্দি – রক্ষাবন্ধন ও লাল সিং চাড্ডা। একদিন অক্ষয় কুমার, অন্যদিকে আমির খান। এ দিকে মুক্তির আগেই বিপত্তির মুখে ‘ভটভটি’। পর্যান্ত পরিমাণে হল পাচ্ছে না ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাগ উগরে দিয়েছেন ছবির পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়।
চাঁচাছোলা ভাষায় তথাগত লিখেছেন, “অ্যাডভান্স বুকিং শুরু হয়ে গেছে সব কটা সিনেমার। এখনও অবধি কলকাতায় ‘ভটভটি’ পেয়েছে মাত্র ৯টা হল এবং ১ টা করে শো। ‘ভটভটি’ শো এর অভাবে ধুকছে। আপনারা যাঁরা ‘ভটভটি’ দেখার অপেক্ষা করছিলেন, জানি না তাঁরা কীভাবে দেখবেন, কারণ অজানা কারণে হল মালিকরা ‘ভটভটি’র শো দিচ্ছেন না। অথবা শেষ মুহূর্তে ১টা করে শো দিচ্ছেন। প্রমাণিত, বাংলা সিনেমা গুণগত মানের বিচারে, দর্শকদের চাহিদার উপর নির্ভর করে। কলকাতার হলে শো পায় না। কাল আরও বেশি করে বোঝা যাবে, কীসের উপর কলকাতার হলে শো পাওয়া নির্ধারণ করে। ক্ষমতার জোরে যাঁরা বাংলা সিনেমাকে বারবার হারিয়ে দেয়, তাঁরা এবার কাপড় সামলাক।”
একই পোস্ট করেছেন মুখ্য অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় ও দেবলীনা দত্ত।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, “অভিনীত ছবি হল পাচ্ছে না স্রেফ ক্ষমতার অপব্যবহারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ছবিটি ভাল হয়েছে। তথার কাজ তার সাক্ষবহন করে। তাবেদারের আর সিন্ডিকেটের ভিড়ে ছবি যদি হল না পায়, তা হলে এই বঙ্গবিভূষণেরা জিতে যাবে একে-অপরের পিঠ চাপড়ে। আপনারাও কি তাই চান? আত্মার শান্তি কামনা করি বাংলা সিনেমার।”