এসএসকেমে ভর্তি বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার। শরীরে রয়েছে একাধিক জটিলতা। কিডনির সমস্যার সঙ্গে দোসর সেপ্টিসিমিয়া। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে অবশেষে ডায়ালিসিস শুরু করা সম্ভব হয়েছে পরিচালকের। তাঁর মেডিক্যাল টিমের তরফে জানানো হয়েছে, অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও সঙ্কট একেবারেই কাটেনি। তবে রক্তচাপের মাত্রা আগের থেকে স্থিতিশীল। এ দিন দু’ঘণ্টা মতো ডায়ালিসিস চলে পরিচালকের। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার শারীরিক অবস্থা বুঝে চার ঘণ্টার ডায়ালিসিস দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে চিকিৎসকদের, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
এর আগে জানা গিয়েছিল, পরিচালকের ড্রাউজিনেস বা তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবই চিকিৎসকদের উদ্বেগে রাখছে। এ দিন জানা গিয়েছে, সেই ভাব খানিক হলেও কেটেছে, তবে কিডনির সমস্যার পাশাপাশি আরও এক চিন্তার বিষয় পরিচালকের শরীরে বাসা বাঁধা আর রোগ সেপ্টিসেমিয়া। চলছে তারও চিকিৎসা। আপাতত পরিচালককে রক্ত দেওয়া হচ্ছে না বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এ দিনই এসএসকেমে পরিচালকের খোঁজখবর নিতে সকালে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গেও তাঁর দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। আপাতত পরিচালকের সুস্থতা কামনায় গোটা দেশ। গঠিত হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডও।
বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় কিংবদন্তি পরিচালকের অবদান রয়েছে অনেকখানি। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার। ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘আলো’র মতো একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯২ বছর। কিছু দিন আগেও এক তথ্যচিত্রের রেকির জন্য ঘুরে এসেছিলেন পুরুলিয়া। হাজির হয়েছিল অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ দেখতেও। তাঁর সুস্থ হয়ে বাড়ির ফেরার অপেক্ষায় আট থেকে আশি।